গেল মৌসুমে নিজেদের প্রথম ২৫ ম্যাচ থেকে আর্সেনাল হেরেছিল মোটে ১ ম্যাচ। আর এবারে শেষ তিন ম্যাচের মধ্যে দুই হার। অন্য এক ম্যাচে গানার্সরা করেছে ড্র। চলতি মৌসুমে আর্সেনাল ঠিক কেমন ছন্দহীন, তার নমুনা হয়ত এখান থেকেই পাওয়া সম্ভব। আর্সেনাল আরও খানিকটা পিছিয়ে যেতে পারে লিভারপুল আর ম্যানচেস্টার সিটি জয় পেলে।
আর্সেনালের এবারের হার নিউক্যাসেল ইউনাইটেডের বিপক্ষে। দ্যম্যাগপাইদের কাছে মিকেল আর্তেতার শিষ্যরা হেরেছে ১২ মিনিটের একমাত্র গোলে। গানার্সদের জালে বল জড়িয়েছেন নিউক্যাসেলের সুইডিশ স্ট্রাইকার আলেক্সান্দার ইসাক। নিউক্যাসেল নাম্বার নাইনের এই গোলেই সেন্ট জেমস পার্ক থেকে শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলে হেরে আসে আর্সেনাল। গত মৌসুমেও সেন্ট জেমস পার্কে এই একই ব্যবধানে হেরেছিল গানাররা।
চোট কাটিয়ে গ্যাব্রিয়েল ফেরায় অনেক দিন পর আবার একসঙ্গে আর্সেনাল মাঠে পেয়ে যায় গ্যাব্রিয়েল-সালিবা জুটি। দুদিন আগেই সালিবাকে নিয়ে সময়ের অন্যতম সেরা সেন্টারব্যাক ভার্জিল ফন ডাইক বলেছিলেন, সালিবার বয়সে তিনিও এই ফ্রেঞ্চম্যানের সমান ছিলেন না। তেমনই দুর্দান্ত সালিবাকে এড়িয়ে আজ গোল করলেন ইসাক।
অ্যান্থনি গর্ডনের ক্রস থেকে সুইডিশ ফরোয়ার্ড আলেক্সান্ডার ইসাক হেডটি নিয়েছেন গ্যাব্রিয়েল ও সালিবার মাঝ থেকে লাফিয়ে উঠেই। তবে এই গোল বাদ দিলে আর্সেনালই ছিল এগিয়ে। আর্তেতার শিষ্যদের বল দখল ছিল ৬৩ শতাংশ, নিউক্যাসলের ৩৭ শতাংশ। তবে গোলে লক্ষ্য করে শট নেওয়া আর লক্ষ্যে শট রাখায় স্বাগতিক নিউক্যাসলই ছিল এগিয়ে। আর্সেনালের গোল উদ্দেশ করে ৯টি শট নেয় নিউক্যাসল, যার চারটিই ছিল লক্ষ্যে। বিপরীতে আর্সেনাল ৮টি শট নিয়ে লক্ষ্যে রাখতে পেরেছে মাত্র একটি।
আজকের হারের পর ১০ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে আর্সেনাল। বোর্নমাউথের বিপক্ষে খেলতে নামার আগে শীর্ষে থাকা ম্যানচেস্টার সিটির পয়েন্ট ছিল ৯ ম্যাচে ২৩। ৯ ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে লিভারপুল আছে দ্বিতীয় স্থানে।