এড. ছানোয়ার হোসেন মনোনয়ন পাওয়ায় জামালপুর এবি পার্টি উল্লসিত

মোহাম্মদ আলী : আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুর – ৫ আসনের এমপি প্রার্থী হিসেবে এড. ছানোয়ার হোসেন মনোনয়ন পাওয়ায় জামালপুর জেলা ( এবি পার্টি) উল্লাস প্রকাশ করেছে। এ উপলক্ষে জেলা দলীয় কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের মিষ্টিমুখ করা হয়েছে।
গত সপ্তাহে আমার বাংলাদেশ (এবি পার্টি ) পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে জামালপুরসহ ১০৯ টি আসনের এমপি প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছেন, দলের চেয়ারম্যান, মোঃ মজিবুর রহমান মঞ্জু ভুঁইয়া ।
এমপি প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণার পর থেকে এবি পার্টি জামালপুর জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ, শুভানুধ্যায়ী ও ছানোয়ার ভক্তদের মাঝে উল্লাস বিরাজ করছে।
এব্যাপারে জামালপুর সদর এবি পার্টির সমন্বয়ক, আব্দুল ওয়াহাব মাষ্টার বলেন, জামালপুর -৫ আসনের এমপি প্রার্থী নির্বাচনে বিচক্ষণতা ও বিজ্ঞতার পরিচয় দিয়েছেন কেন্দ্রীয় কমিটি। তাকে ছাড়া জামালপুর আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো সত্যিই যোগ্য প্রার্থীর অভাব রয়েছে। তাই আমরা কেন্দ্রীয় এ সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই।
আরেক নেতা, জেলা শ্রমিক পার্টির আহবায়ক, আলহাজ্ব আব্দুস সাত্তার বলেন, এবি পার্টির আত্মপ্রকাশের পর থেকে এড. ছানোয়ার জামালপুর জেলায় যেভাবে দলকে গুছিয়ে বা সুসংগঠিত করে নিয়েছেন, সেই বিবেচনায় এই আসনের মনোনয়ন তারই পাওয়ার কথা ছিল। এ আসনে অন্যসব দলের শক্তিশালী প্রার্থীর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তার বিকল্প নেই।
জানা যায়, এড. সানোয়ার হোসেন জামালপুর জেলার সদর উপজেলার মেষ্টা ইউনিয়নের একটি শিক্ষিত ও সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মোঃ হায়দার আলী একজন সরকারি চাকরিজীবী ছিলেন। মাতা আনোয়ারা বেগম একজন গৃহিনী। ৫ ভাই বোনদের মধ্যে তিনি সবার বড়।
বাবার বদলিজনিত কারণে দেশের বিভিন্ন জেলায় কাটে তার শৈশব। ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন বুদ্ধিমান ও বিচারবোধসম্পন্ন বালক। কৈশোর বয়স থেকেই তিনি দেশ, রাজনীতি ও সমাজ নিয়ে ভাবতেন। তার এ চিন্তাশীলতাই তাকে আজকের নেতৃত্বের পথে এগিয়ে এনেছে ।
জামালপুর জেলা শহরের একটি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করার পর সানোয়ার উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমান ঢাকায়। সেখান থেকে তিনি আইন বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন। শিক্ষাজীবনে তিনি ছিলেন মেধাবী ও বুদ্ধিদীপ্ত। রাজনীতি ও সাংগঠনিক ভাবেও ছিলেন সমান সক্রিয়। বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থেকে নিজের চিন্তাশক্তি, নেতৃত্বের গুণাবলি এবং নৈতিক অবস্থানকে তিনি আরও সুদৃঢ় করেছেন।
এড. ছানোয়ার হোসেন বাংলাদেশ বার কাউন্সিল সম্পন্ন করে প্রথমে ঢাকা জজ কোর্টে আইনজীবী হিসেবে প্র্যাকটিস শুরু করেন। আইন পেশার প্রতি তার একনিষ্ঠতা, মেধা, ন্যায়বোধ ও পেশাগত নিষ্ঠা তাঁকে অল্প সময়েই প্রতিষ্ঠিত করে। এরপর তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন এবং উচ্চ আদালতে বিচার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সক্রিয়ভাবে আইন পেশায় নিযুক্ত থাকেন।
তার মতে, আইন শুধু পেশা নয়, এটি একটি মহান সেবা। এছাড়া এটি সমাজ ও রাষ্ট্র পরিবর্তনের হাতিয়ার। এই দর্শনে বিশ্বাসী হয়ে তিনি নিজ এলাকা ( জামালপুর অঞ্চলের ) গরিব, নিপীড়িত ও প্রান্তিক জনগণের পাশে দাঁড়াতে রাজধানীর সফল জাঁকজমকপূর্ণ প্রতিষ্ঠা ছেড়ে এসেছেন। নিজ এলাকায় তিনি অনেক ক্ষেত্রেই বিনা প্রারিশ্রমিকে ও নিঃস্বার্থভাবে আইনি সহায়তা দিয়ে থাকেন। যার কারণে তার এলাকার মানুষ তাকে “গণমানুষের আইনজিবী গন্য করে থাকেন।
ছাত্রজীবন থেকেই ছানোয়ার হোসেন রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তবে, রাজনীতিকে তিনি উপরে উঠার সিঁড়ি বা ক্ষমতা লাভের হাতিয়ার হিসেবে কখনো ভাবেননি। দেশপ্রেম জনগণের অধিকার আদায়ের একটি প্লাটফর্ম হিসেবে নিয়েছেন। গতানুগতিক ধারার রাজনীতি, দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা, মূল্যবোধের অবক্ষয় এবং দুর্বৃত্তায়নের বিরুদ্ধে তার মনোভাব তাকে একটি আদর্শভিত্তিক রাজনৈতিক প্লাটফর্ম খুঁজে নিতে অনুপ্রাণিত করেছে। সেই খোঁজ থেকেই তিনি আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) সঙ্গে যুক্ত হন।
আমার বাংলাদেশ পার্টির প্রতিষ্ঠাকালীন পর্যায় থেকেই তিনি এ দলের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। তার দূরদর্শী রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, সাংগঠনিক দক্ষতা ও গণমূখী চারিত্রিক ক্ষমতা দলকে শক্ত ভিত্তির উপর দাঁড় করাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এসব অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও জামালপুর জেলা কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
দাম্পত্য জীবনে এড. সানোয়ার হোসেন ২ সন্তানের জনক। স্ত্রী নাহিদা আক্তার একজন সরকারি চাকরিজীবী।
এড. ছানোয়ার হোসেন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয় লাভে জামালপুরবাসীর দোয়া ও সমর্থন প্রত্যাশা করেছেন।