এনসিপির জন্য অন্যদের নিবন্ধন আটকে রেখেছে ইসি, অভিযোগ দুই রাজনৈতিক দলের

জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) আগে নিবন্ধন দিতে গিয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ইচ্ছাকৃতভাবে অন্য দলগুলোর নিবন্ধন প্রক্রিয়া থামিয়ে রেখেছে বলে অভিযোগ তুলেছে নিবন্ধনের অপেক্ষায় থাকা কয়েকটি রাজনৈতিক দল।

তারা বলছে, সরকার এনসিপিকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে। এছাড়াও নতুন করে অধিকতর তদন্ত না করে প্রাথমিক তদন্তের ফলাফলের ভিত্তিতেই তাদের নিবন্ধন সনদ দেওয়া উচিত বলেও এ দলগুলো দাবি করেছে।

আজ মঙ্গলবার ইসির মিডিয়া সেন্টারে নিবন্ধনের জন্য প্রথম তদন্তে উত্তীর্ণ দুটি দল- মৌলিক বাংলা ও বাংলাদেশ জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (বিজেডিডিপি) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি জানায়।

মৌলিক বাংলার সভাপতি খান শোয়েব আমান বলেন, ‘ইসি এখন বাংলাদেশের অন্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের মতোই ক্ষমতাসীনদের প্রতিনিধিত্ব করছে। তদন্ত কর্মকর্তারা আমাদের সঙ্গে যে আচরণ করেছেন, তা অত্যন্ত অপ্রীতিকর ও সংবেদনশীল।

আমরা তাদের নাম-পরিচয় নোট করে রেখেছি। উনারা আমাদের যে সমস্ত কথা বলেছেন, তা খুবই অপ্রীতিকর। খুবই সেনসিটিভ কথা, যা রাজনৈতিক দলের প্রতি সরকারি কোনো মানুষ বলতে পারে না।’

দলের সাধারণ সম্পাদক ছাদেক আহমেদ সজীব বলেন, ‘বর্তমান সরকার এনসিপির নেতাকর্মীদের বগলে নিয়ে ঘুরছে। ভাবসাব দেখলে মনে হয়, তারা এখনই নেতা হয়ে গিয়েছে। তিনি আরো বলেন, এনসিপিকে অগ্রাধিকার দিতে গিয়ে ইসি তিন ধাপে তদন্ত করছে, যা সংবিধান ও কমিশনের নিজস্ব নীতিমালার পরিপন্থী।’

বিজেডিডিপিও একই অভিযোগ তুলে বলেছে, ‘প্রথম তদন্তে উত্তীর্ণ হওয়ার পরও অধিকতর তদন্তের নামে তাদের নিবন্ধন আটকে রাখা হয়েছে। দলটির পক্ষ থেকে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সহজ করারও আহ্বান জানানো হয়েছে।’

এদিকে, এরই মধ্যে এনসিপিকে নিবন্ধন দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। তবে ‘শাপলা প্রতীক’ নিয়ে জটিলতায় তা বাস্তবায়ন হয়নি। ইসি বলছে, এ প্রতীক কোনো দলকে দেওয়া যাবে না। কিন্তু এনসিপি বলছে, আইনগতভাবে এতে কোনো বাধা নেই এবং তারা এ প্রতীক ছাড়া নিবন্ধন নেবে না।

বর্তমানে দেশে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৫২টি হলেও আরো কয়েকটি দল নিবন্ধনের অপেক্ষায় রয়েছে।