এফবিসিসিআইকে পাচঁ সিন্ডিকেটের হাত থেকে রক্ষা করার দাবি-সাধারণত ব্যবসায়ীদের

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের জিবি মেম্বারদের এক সদস্য নাম গোপন রেখে বলেন – সারা বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের পার্লামেন্ট  এফবিসিসিআই. ব্যবসায়ীদের সমস্যা সমাধানের এবং আশা-আকাঙ্ক্ষার বাতিঘর এই এফবিসিসিআই স্বাধীনতার পর থেকেই এই এফবিসিসিআই  সব সময় সরকারের সাথে এফবিসিসিআই এর  প্লাটফর্ম থেকে ব্যবসায়ীদের স্বার্থে কাজ করে আসে এখানে কোন দল বা মতের প্রাধান্য ছিলনা । আমাদের সবার পরিচয় আমরা ব্যবসায়ী সমাজ এক এবং ঐক্যবদ্ধ . সমস্ত ব্যবসায়ীদের একমাত্র প্রত্যাশা ব্যবসা করার জন্য সুন্দরপরিবেশ বিরাজমান থাকুক .অতীতে ও আমরা দেখেছি সমস্ত দল এবং মতের লোকের এক অপূর্ব মিলন মেলা যেখানে বৈষম্যের কোন স্থান নেই বিগত দিনের চিত্র দেখলে আমরা দেখতে পাই ব্যবসায়ীদের শীর্ষ কোন সম্মেলন হলে বিগত দিনের সকল সভাপতি গন একই ছাতার নিচে হাতে হাত রেখে ব্যবসায়িক সম্মেলনে উপস্থিত হতো. এই এক অপূর্ব দৃশ্য যা আমরা উপভোগ করতাম আমাদের সমস্ত ব্যবসায়ীদের একমাত্র প্রত্যাশা যে বৈষম্যহীন সমাজ ব্যবস্থা .দল মত সবার উদ্যোগে ব্যবসায়ীদের স্বার্থ সংরক্ষণ করা. ব্যবসায়ীদের সবার প্রত্যাশা এক এবং অভিন্ন কিন্তু অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় হলো যে শেখ ফাহিম সভাপতি দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকে এই এফবিসিসিআই ব্যবসায়ীদের জন্য এক অন্ধকার যুগের সৃষ্টি করে যেখানে কোন ব্যবসায়ীদের মতামতের কোন মূল্য ছিল না সাধারণ সদস্যদেরকে এই এফবিসিসিআই  নিষেধাজ্ঞা জারি করে যা অত্যন্ত লজ্জাকর এবং নিকৃষ্ট ছিল. কোন পরিচালক এই অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বললে তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হতো যেগুলা কোন ব্যবসায়িক সমাজ জীবনে চিন্তা ও করতে পারে না .এই এফবিসিসিআই কে শেখ ফজলে ফাহিম তার ব্যক্তিগত বলয় গড়ে তুলে এবং নিজস্ব সচিবালয়ের মত ব্যবহার করতে থাকে ব্যবসায়ীদের স্বার্থের মতের কোন স্থান ছিল না. এই এফবিসিসিআই ব্যবসায়ীদের ভয়ের জায়গা হিসেবে তৈরি করে শেখ ফাহিম এই এফবিসিসিআই এর অফিসকে যুবলীগের কার্যালয়ের মত ব্যবহার করতে থাকলো. কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে বিদেশ যাওয়ার নাম করে সাধারণ জিবি মেম্বার এর কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। যাহা এফবিসিসিআই ইতিহাসে কখনো ছিল না .আর এই এফবিসিসিআই শেখ ফজলে ফাহিমের সাথে জোট বদ্ধ হয়ে এই অপকর্মগুলোকে সম্পাদন করার মূল নায়ক যারা ছিল তাদের মধ্যে ছিলেন মুনতাকিম আশরাফ, মীর নিজাম, সুবীর চন্দ্র দাস,  রাজেশ গংরা. দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে কোন সাধারণ সদস্য এফবিসিসিআইয়ে প্রবেশ করতে পারে নাই ।তাই তাদের কোন সমস্যা সমাধানের কথা বলতে পারে নাই যা ছিল অত্যন্ত নিকৃষ্ট. কেউ যদি কোন প্রতিবাদ করতে যেত তাকে শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত হতো, এফবিসিসিআই উন্নয়নের করার কথা বলে কোন প্রকার বিল ভাউচার ছাড়া কোটি কোটি টাকার অপচয়ের নগ্ন খেলাই মেতে উঠে তারা । শেখ ফজলে ফাহিম এই অন্যায় জোর জুলুম এর সাথী ছিল সুভীর চন্দ্র দাস, মুনতাকিম আশরাফ, মীর নিজাম, রাজেস গংরা । শেষ কর্ম দিবসে দ্বায়িত্বের শেষ সময়ে  এফবিসিসিআই এর  ১৫ কোটি টাকার ফান্ড বোর্ডের কোন প্রকার অনুমোদন না নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে ৫ কোটি,  পুলিশ কল্যাণ তহবিলে  ৫ কোটি এবং বাকী ৫ কোটি টাকা সেনাবাহিনীর ওয়েলফেয়ার এ দিয়ে দেয়। এফবিসিসিআই ফান্ড শুন্য করে চলে যায় । এই জাতীয় বিরল ঘটনা এফবিসিসিআই প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে ঘটে নাই। তার সময় কাল শেষ হওয়ার পরও পরবর্তী সভাপতি গনের সময় ও তার কিছু মনোনিত লোক দিয়ে যুবলীগ বাহিনী  দিয়ে কাজের স্বাভাবিক পরিবেশ নষ্ট করে যাচ্ছে । তার নিযুক্ত কিছু লোকজন  দিয়ে বিভিন্ন জায়গাতে বসিয়ে নিয়ন্ত্র করার অবচেষ্টা অব্যহত রেখেছে। প্রতিবাদ করলে পরিকল্পিত ভাবে জীবন নাশের হুমকির সম্মূখীন হতে হয়।এই কমকান্ডের মাষ্টার মাইন্ড (১) শেখ ফজলে ফাহিম (২) মুনতাকিম আশরাফ (৩) মীর নিজাম (৪) সুবীর চন্দ্র দাস (৫) রাজেশ গং  এদেরকে সারাজীবনের জন্য এফবিসিসিআই থেকে অবাঞ্চিত ঘোষনা করতে চায় ব্যবসায়ীরা ।