এবারের ঈদে দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে ৫টি ছবি। এর মধ্যে অন্যতম আলোচনায় রয়েছে শাকিব খান ও মিমি চক্রবর্তী অভিনীত রায়হান রাফি পরিচালিত ‘তুফান’ সিনেমা। ‘তুফান’ মুক্তির পরে সারাদেশে ছবিটি নিয়ে দর্শকের সাড়ায় মুগ্ধ সিনেমা সংশ্লিষ্ট সকল মহলের মানুষ।
এবার বাংলাদেশের পর ভারতে মুক্তি পাচ্ছে ‘তুফান’। তার আগে ৪ জুলাই কলকাতায় ছবির প্রচারে হাজির ছিলেন শাকিব খান। ছবির প্রচারে তার সঙ্গে দেখা গেল মিমি চক্রবর্তীকেও।
‘তুফান’-এর প্রচারের ফাঁকেই ট্রলকারীদের জবাব দিলেন মিমি। তার কথায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ট্রল না করে বাস্তবেই বাংলা ছবির পাশে দাঁড়ান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনও বাঙালি তারকা বাংলা ছাড়া ইংরেজি কিংবা হিন্দিতে কথা কথা বললে তাদেরকে ট্রল হতে হয়।
ট্রল প্রসঙ্গে মিমি বলেন, ‘একটা ছোট্ট কথা বলি, আমি যদি আমার ইন্টারভিউতে একটা হিন্দি কিংবা ইংরেজি শব্দ ব্যবহার করি, তাহলে আপনারাই সেই পোস্টের নিচে গিয়ে লিখবেন, উম…হিন্দিতে কথা বলছে, উম ইংরেজিতে কথা বলছে। কেন বাংলা ভাষায় কথা বলতে লজ্জা লাগে? যারা একথা বলেন, তারা গিয়ে হলে দাঁড়িয়ে কিন্তু বাংলা ছবি দেখেন না। তাদের সকলকে বলব, কমেন্ট সেকশনে বাংলা ভাষাকে না ভালোবেসে হলে গিয়ে ভালোবাসুন। তাহলেই বাংলা সিনেমা এগোতে পারবে।’
তবে বাংলা ছবি নিয়ে আশাবাদী শাকিব-মিমি। তাদের আশা একদিন বাংলা ছবিও হাজার কোটি টাকার ব্যবসা করবে। এদিন ‘তুফান’-এর প্রচারে উরা ধুরা গানে একসঙ্গে নেচে তাক লাগিয়েছেন। এদিন প্রচারের ফাঁকে মিমিকে সুপারস্টারের তকমা দেন শাকিব।
তুফান কেন চলছে না, তুফান কেন চলবে না? এই প্রশ্নগুলো করাই উচিত নয়। কারণ, তাতে আপনার আমার সকলের গায়েই কালি ছিটবে। আপনিও বাঙালি, আমিও বাঙালি। আমরা এখানে বাংলার বসে এত অন্য ভাষার সিনেমা দেখব, আর বলব, খুব ভালো হয়েছে, খুব ভালো হয়েছে। অনেক সময় দেখা যায় যে, ভালো হয়নি এমন সিনেমা দেখেও বলি, আরে দেখে আসলাম।
এ অভিনেতা বলেন, ‘খুব গর্বিত হয়ে বলি, বিশেষ করে এই বাংলায়। ওই বাংলায় কিন্তু এতদিনে ‘তুফান শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এই বাংলাই বা কেন পিছিয়ে থাকবে! আমার এই বাংলা ইন্ডাস্ট্রিও তো অনেক বড়। এই বাংলা ইন্ডাস্ট্রি উত্তমকুমারের বাংলা ইন্ডাস্ট্রি। বাংলা কেন পিছিয়ে থাকবে! আমি বলব, ভালো যত বাংলা ছবি হয়, তা আমাদের বাঙালিদেরই দেখতে হবে।’