পবিত্র রমজানের অপেক্ষার সময় শেষের পথে। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি মধ্যপ্রাচ্যের ইসলামিক দেশগুলোতে রমজানের চাঁদ দেখা গেলে, পরেরদিন ১ মার্চ থেকে সেখানে রোজা শুরু হবে। অপরদিকে ১ মার্চ বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানসহ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশে ১ মার্চ চাঁদ দেখা কমিটি বৈঠক বসবে। ওইদিন চাঁদ দেখা গেলে পরের দিন ২ মার্চ থেকে শুরু হবে মহিমান্বিত এ মাস।
পৃথিবী বাঁকা ও সূর্যের অবস্থানের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় দিন ও রাতের সময়ের মধ্যে পার্থক্য থাকে। আবার কোথাও কোথাও সূর্য কখনো উদয় হয় না। তাই বিশ্বের মুসল্লিরা ভিন্ন ভিন্ন সময়— কেউ কেউ ১৭-১৮ ঘণ্টা। আবার কেউ কেউ ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা বা তারও বেশি রোজা রাখেন।
এ বছর ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলেনস্কির মুসল্লিদের সর্বোচ্চ ১৭ দশমিক ৫ ঘণ্টা রোজা রাখতে হবে। অপরদিকে বাংলাদেশে প্রথম রোজাটি প্রায় ১৩ ঘণ্টা দীর্ঘ হবে। আরও যেসব দেশের মানুষকে দীর্ঘ সময় রোজা রাখতে হবে সেগুলো হলো—
১। নুউক, গ্রিনল্যান্ড (১৭ ঘন্টা)
২। গ্লাসগো, স্কটল্যান্ড (১৬ দশমিক ৫ ঘন্টা)
৩। অটোয়া, কানাডা (১৬ দশমিক ৫ ঘন্টা)
৪। জুরিখ, সুইজারল্যান্ড (১৬ দশমিক ৫ ঘন্টা)
৫। রোম, ইতালি (১৬ দশমিক ৫ ঘন্টা)
৬। মাদ্রিদ, স্পেন (১৬ ঘন্টা)
৭। লন্ডন, যুক্তরাজ্য (১৬ ঘন্টা)
৮। প্যারিস, ফ্রান্স (১৫ দশমিক ৫ ঘন্টা)
৯। রেকজাভিক, আইসল্যান্ড (১৫ ঘন্টা)
অপরদিকে এ বছর সবচেয়ে কম সময় রোজা রাখবেন নিউজিল্যান্ডের মুসল্লিরা। দেশটিতে রোজার দিনের ব্যপ্তি হবে ১১ দশমিক ৫ ঘণ্টা। কম সময় রোজা রাখার তালিকায় অন্য দেশগুলো হলো—
১। পুয়ের্তো মন্ট, চিলি (১১ দশমিক ৫ ঘন্টা)
২। করাচি, পাকিস্তান (১২ ঘন্টা)
৩। বুয়েন্স আয়ার্স, আর্জেন্টিনা (১২ ঘন্টা)
৪। কেপ টাউন, দক্ষিণ আফ্রিকা (১২ দশমিক ৫ ঘন্টা)
৫। নয়াদিল্লি, ভারত (১২ দশমিক ৫ ঘন্টা)
৬। জাকার্তা, ইন্দোনেশিয়া (১২ দশমিক ৫ ঘন্টা)
৭। দুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত (১৩ ঘন্টা)
৮। নাইরোবি, কেনিয়া (১৩ ঘন্টা)
৯। ঢাকা, বাংলাদেশ (১৩ ঘণ্টা)