রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, দেশে কিডনি রোগের উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা থাকলেও তা অত্যন্ত ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ। তাই প্রতিকারের পাশাপাশি কিডনি রোগ প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা খুবই জরুরি।
আজ ‘বিশ্ব কিডনি দিবস-২০২৪’ উপলক্ষ্যে এক বাণীতে এসব কথা বলেন তিনি।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) ‘বিশ্ব কিডনি দিবস ২০২৪’ পালিত হচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ জনগণকে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা দিতে সরকার নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিডনি রোগের ব্যয়বহুল চিকিৎসায় সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি ও দাতব্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, মানবদেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ কিডনি রক্তে জমে থাকা আবর্জনা ও অতিরিক্ত পানি বের করে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে, রক্তের লোহিত কণিকা তৈরি করে এবং হাড় শক্ত করে। পৃথিবীতে বিপুল সংখ্যক মানুষ কিডনি সংক্রান্ত রোগে আক্রান্ত। কিডনির রোগ একটি নীরব ঘাতক, যা মানুষকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। বিশেষজ্ঞদের মতে অনিয়ন্ত্রিত ও অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ব্যথানাশক ও অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের যথেচ্ছ ব্যবহার, খাদ্যে ভেজাল, স্থূলতা প্রভৃতি কারণে কিডনি রোগের প্রকোপ দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
মো. সাহাবুদ্দিন আশা প্রকাশ করেন, দেশে কিডনি রোগের সর্বাধুনিক চিকিৎসার প্রসার ও অধিক সংখ্যক মানুষকে সেবার আওতায় নিয়ে আসতে ডাক্তার, বিশেষজ্ঞ এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কার্যক্রম আরও বেগবান করবে।