তানভীর আহমেদ হীরা : দেশে ভোজ্য তেলের আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে আনার জন্য জামালপুরে তৈলবীজ ফসল উৎপাদনের আধুনিক কলাকৌশল শীর্ষক পাঁচ জেলার কৃষি বিজ্ঞানীদের নিয়ে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার ১২ জুলাই সকাল থেকে জামালপুর আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আর্থিক সহযোগিতায় বিএ আরআই এর মিলনায়তনে দিনব্যাপী এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে জামালপুর আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডক্টর মনজুরুল কাদের এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ডক্টর দেবাশীষ সরকার, অতিথি, আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডক্টর রজব আলী,জামালপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জাকিয়া সুলতানাসহ আরো অন্যান্যরা। বক্তরা বলেন, দেশের ভোজ্য তেলের আমদানি নির্ভর থেকে সরে এসে উৎপাদন মুখী করার জন্য তেলবীজ ফসল উৎপাদনের আধুনিক কৌশল প্রয়োগ করে রুপা আমন ও বোরো ধানের মধ্যবর্তী সময় চাষযোগ্য কেনোলা জাতীয় সরিষার জাত উদ্ভাবন কর্মসূচিকে কাজে লাগতে হবে। উচ্চ ফলনশীল সরিষার জাত কৃষকের হাতে তুলে দিলে এটি যেমন কৃষক লাভবান হবে তেমনি স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে পাশাপাশি ভোজ্য তেলের (সয়াবিন) আমদানি নির্ভরতা কমে যাবে। কেনোলা জাতীয় বীজ উৎপাদনের ফলে দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে কৃষিকে টেকসই উৎপাদনশীল করতে হবে।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক, ডক্টর দেবাশীষ সরকার বলেন, তেল জাতীয় অন্যান্য ফসল উৎপাদন করে কৃষক কম লাভবান হওয়ার উচ্চ ফলনশীল কেনোলা জাতীয় সরিষা ফসল উৎপাদন করে কৃষক অধিক লাভবান হবে। সেই কাজগুলোই কৃষি বিজ্ঞানীরা করে যাচ্ছে। গত ২০২০-২১ অর্থ বছরে কৃষি জমিতে ৬ থেকে ৮ হাজার হেক্টর এবং এ বছর ১১ হাজার হেক্টর কৃষি জমিতে আবাদ করতে সক্ষম হয়েছি। কেনোলা জাতীয় তৈলবীজ দেশব্যাপী জড়িয়ে দিতে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট কাজ করে যাচ্ছে।