কোটা সংস্কার আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টি

কোটা সংস্কার আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদ বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টির আহ্বায়ক এম. এ. আলীম সরকার এক বিবৃতিতে বলেছেন, বাংলাদেশে কোটা সংস্কার  নিয়ে ছাত্রদের আন্দোলন বেশ কয়েক বছর ধরে  চলছিল। ছাত্রদের ঐ আন্দোলনে ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, ছাত্র ইউনিয়ন ও ছাত্র ফ্রন্ট নেতৃত্ব অল্পই দিয়েছে। সাধারণ ছাত্রদের মধ্য থেকে ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ কোটা পদ্ধতি পরিবর্তনের দাবিতে এই আন্দোলনে ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, ছাত্র ইউনিয়ন ও ছাত্র ফ্রন্ট সমর্থন  দিয়েছে। কখনো কখনো নেতৃত্ব দিয়েছে। সাধারণ ছাত্রদের মধ্যে থেকে গড়ে উঠে ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। চাকরির ক্ষেত্রে শতকরা ৩০ ভাগ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান- সন্ততিদের জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়। এই বিধান পরিবর্তনের জন্য কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্রমাগত আন্দোলন চালায়। কয়েক বছর আন্দোলনের পরে সরকার আন্দোলনকারীদের মতামত জেনে বিধি-বিধানে কিছু পরিবর্তন ঘটিয়ে সরকার আন্দোলন থামায়। এখন দেখা যাচ্ছে একই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত দেয় যে,  মুক্তিযোদ্ধা সন্তান- সন্ততিদের চাকরির সুবিধা আইন সম্মত হয়নি বলে রায় দিয়েছে। এর ফলে পুনরায় শিক্ষার্থীরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র  আন্দোলনে গড়ে তোলে আন্দোলন করছে। মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান- সন্ততিরা পুরুষানুক্রমে অনন্তকাল বহাল থাকবে এটা কি ন্যায়সঙ্গত?  আমরা মনে করি আন্দোলনকারী ছাত্রদের আন্দোলন ন্যায়সঙ্গত। কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের উপর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন  ছাত্রলীগ সহ বিভিন্ন সংগঠন ও পুলিশ যে, নৃশংস নির্মম ও বর্বরোচিত হামলা করেছে এবং ছয়জন নিহত হয়েছে, তা মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকেও হার মানিয়েছে। একটি স্বাধীন রাষ্ট্রে এভাবে  গণতান্ত্রিক যৌক্তিক আন্দোলনে হামলা করতে  পারে না। আমরা এই হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এই নির্মম হত্যাকান্ডসহ হামলাকারীদের সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও হতাহত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ দাবি জানাচ্ছি এবং শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। সরকার কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সাথে আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমে সমাধান না করে ছাত্রলীগ সহ অন্যান্য সংগঠন ও পুলিশের পেশি শক্তি প্রয়োগ করে আন্দোলন দমন করার অপকৌশল প্রয়োগ করছে। যার  ফলে তাজা ছয়টি প্রাণ অকালে ঝরে গেল। আমরা মনে করি সমস্যাটি নিয়ে জাতীয় সংসদে পর্যাপ্ত আলোচনা- সমালোচনার পর সংসদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সরকারের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।