খুলনায় আইসক্রিম ও সেমাই কারখানায় অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। রোববার (৩১ মার্চ) দুপুরে মহানগরীর খালিশপুর এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ সময় নোংরা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও ক্ষতিকর উপাদান ব্যবহারের অভিযোগে দুটি প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ সেলিম। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের খুলনা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. ওয়ালিদ বিন হাবিব, ক্যাব খুলনার সদস্য জেডএন সুমন ও আনসার সদস্যরা।
ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয় রোববার খুলনা মহানগরীর খালিশপুর এলাকায় তদারকিমূলক অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানকালে অনুমোদনহীন এবং ক্ষতিকর উপাদান ব্যবহার করে নকল রোবো ললি তৈরি, বিপণন ও বিক্রয় করার অপরাধে সাজুর রোবো কারখানাকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় আনুমানিক ৫০০ প্যাকেট অনুমোদনহীন, নকল রোবো জব্দ ও ধ্বংস করা হয়। এ ছাড়া নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সেমাই উৎপাদন ও প্রক্রিয়াকরণ করার অপরাধে ভূঁইয়া ফুড কোম্পানিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও আদায় করা হয়।
সূত্রটি আরও জানায়, অভিযানকালে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী, সেমাই, ওষুধ, আলু, দেশি পেঁয়াজ, ডিমের বাজার দর ও ক্রয় ভাউচার যাচাই করা হয় এবং সকল ব্যবসায়ীকে সরকার নির্ধারিত মূল্যে পণ্য বিক্রির নির্দেশনা দেওয়া হয়। তদারকিকালে সরকার নির্ধারিত মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রির জন্য ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয় এবং কেউ সরকার নির্ধারিত মূল্যের থেকে বেশি মূল্য নিলে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ব্যবসায়ীদেরকে সচেতন করার পাশাপাশি বাধ্যতামূলকভাবে মূল্যতালিকা দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শন ও ক্রয়-বিক্রয় ভাউচার সংরক্ষণ এবং নির্ধারিত মূল্যে পণ্য বিক্রি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। জনস্বার্থে অভিযান অব্যাহত থাকবে।