নিজস্ব প্রতিনিধি: ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ২৪ নভেম্বর (সোমবার) সকালে “গণভোটের দাবিতে জনতার ঐক্য ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক ফ্রন্টের সাংবাদিক সম্মেলন” অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা পার্টির সভাপতি আব্দুল গফুর মিয়ার সভাপতিত্বে ও সোনার বাংলা পার্টির সভাপতি সৈয়দ হারুন অর রশিদের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনের উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা পার্টির সাধারণ সম্পাদক এ এ এম ফয়েজ হোসেন, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (এমএল)’র সভাপতি মোস্তফা কামাল, সাধারণ সম্পাদক এস এম হানিফুল কবির, যুগ্ম সম্পাদক এম এম ওবাইদুল্লাহ, কেন্দ্রীয় সদস্য আশরাফ আরেফীন, গণঅধিকার পার্টির চেয়ারম্যান হোসেন মোল্লা, অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ফরহাদ হোসেন, বৈঠকের সভাপতি এডভোকেট হোসেন আলী প্রমুখ।
সাংবাদিক সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশ একটি ক্রান্তি লগ্নে পৌঁচেছে। বিগত গণঅভ্যত্থানের পর যে অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে তারা ১৫ মাস অতিক্রান্ত করেছে। স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের উপর হুমকি আসছে প্রতিবেশী দেশ থেকে। জনগণ যেমন বিপ্লবী বদলের আশা করেছিল তার থেকে দূরে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এ সরকারের বৈধতার প্রশ্ন, প্রেসিডেন্ট, সেনা প্রধানের আস্থার সংকট, সংবিধান টিকিয়ে রাখা বা নতুন সংবিধান তৈরী, ক্রিমিনাল কতিপয় রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম চিরতরে রুদ্ধ হওয়ার প্রশ্নে আমরা জনতার ঐক্য গত ৫ নভেম্বর ২০২৫ গণভোটের দাবী জানিয়েছিলাম। বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক ফ্রন্ট ৪ অক্টোবর ২০২৫ খোলা চিঠির মাধ্যমে গণভোটের দাবী জানিয়েছে। আমরা ডিসেম্বর ২০২৫ মাসের মধ্যে গণভোট অনুষ্ঠান করা ও নভেম্বর ২০২৫ মাসের মধ্যে গণভোটের দিন ধার্য্য করার ঘোষণার জন্য জানিয়েছি।
এরপর সরকারের খোয়ারের জামায়াতে ইসলামী পিআর ও দোতলা সংসদের জন্য গণভোট দাবী করে, সরকার প্রধান ১২ নভেম্বর ২০২৫ সংবিধান সভা, পার্লামেন্ট ও গণভোট একই দিনে ২০২৬ সনের ফেব্রুয়ারীর প্রথম দিকে হবে বলে মিডিয়ায় প্রদত্ত বক্তৃতা মারফত জানিয়েছেন যাতে তিনি জুলাই সনদের ৮৪ ধারাকে ৪ ধারায় পেঁচিয়ে দিয়ে হা / না ভোট নেয়ার কথা বলেন। জুলাই সনদ ২০২৫ প্রেডিডেন্টকে দিয়ে স্বাক্ষর করিয়ে অর্ডিনেন্স বানিয়ে নিয়েছেন বিধায় জামায়াত ও সরকার প্রধানের জুলাই সনদের উপর গণভোটের দফারফা হয়ে গেছে বলে আমরা মনে করি।
বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের ৪ অক্টোবর ২০২৫ ও জনতার ঐক্যের ৫ নভেম্বর ২০২৫ এর উত্থাপিত ১৮ দফার উপর গণভোটের মীমাংসা করেন নাই এই সরকার।
এমতাবস্থায়, আমরা ডিসেম্বর ২০২৫ মাসের মধ্যে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ এসব বিষয়ে গণভোটের দাবী পুনঃউত্থাপন করলাম। এ সপ্তাহের মধ্যে সরকারের কাছে এ বিষয়ে ঘোষণা পুনঃদাবী করছি। অন্যথায় আমরা গণআদালতে বিষয়াদি উত্থাপন করে জনগণকে নিয়ে ফয়সালার দিকে এগুতে বাধ্য হব। আমরা বাংলাদেশের জনগণকে সার্বভৌম মনে করি। জনগণের পক্ষ থেকে এই দাবী আমরা পেশ করছি।
