ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা চালিয়ে ৭ ত্রাণকর্মীকে হত্যা করেছে দখলদার ইসরায়েল। নিহতদের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া, পোল্যান্ড, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র-কানাডার যৌথ নাগরিক রয়েছেন।
এই হত্যাকাণ্ডের পর মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) মুখ খুলেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তিনি দাবি করেছেন, তাদের সেনারা ওই ত্রাণকর্মীদের ওপর অনিচ্ছাকৃত হামলা চালিয়েছে। আর যুদ্ধক্ষেত্রে এ ধরনের ভুল হয়।
এ ব্যাপারে নেতানিয়াহু বলেছেন, “দুর্ভাগ্যবশত, গতকাল একটি দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে। গাজা উপত্যকায় আমাদের সেনারা নিরপরাধ ব্যক্তিদের ওপর হামলা চালিয়েছে। যুদ্ধে এটি হয়। আমরা বিষয়টি বিশদভাবে তদন্ত করছি। আমরা সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করছি এবং ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনা না ঘটে সেজন্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।”
ইসরায়েলিদের হামলায় গাজায় যেসব ত্রাণকর্মী নিহত হয়েছেন তাদের সবাই ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের (ডব্লিউসিকে) হয়ে কাজ করছিলেন। হামলার সময় তারা একটি গুদামে খাদ্যপণ্য রেখে বের হয়েছিলেন। তখন তাদের গাড়িবহর লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়।
দখলদার ইসরায়েল গাজায় ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। কিছু কিছু জায়গায় এমনও ঘটনা ঘটেছে যেখানে দেখামাত্র সাধারণ মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আর এ কারণে ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের কর্মীরা গাড়ি বহর নিয়ে বের হওয়া এবং তাদের যাতায়াতের ব্যাপারে ইসরায়েলি বাহিনীকে অবহিত করেছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও এসব মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।
ইসরায়েলি অবরোধের কারণে গাজার উত্তরাঞ্চলে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। সেখানকার মানুষ দুর্ভিক্ষের মুখে পড়েছেন। ওই অঞ্চলের মানুষের মুখে খাবার তুলে দিতে কার্যক্রম চালাচ্ছিল ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেন। কিন্তু এই হামলার পরপর নিজেদের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে এই বেসরকারি দাতব্য সংস্থাটি।
সূত্র: সিএনএন