বাংলাদেশ মোবাইল ফোন রিচার্জ ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলু বলেন, এটা (৩০ টাকা) ঠিক না। অনেক মানুষ ১০ টাকা ২০ টাকা দিয়ে রিচার্জ করে। অনেক মানুষ ৩০ টাকা যোগাতে পারে না। এতে মানুষ রিচার্জ কম করবে। এতে রিচার্জ ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
পাশাপাশি ছোট ছোট প্যাকেজ থাকলে গ্রাহকদের জন্য ভালো হবে বলে মনে করেন আমিনুল ইসলাম বুলু।
গ্রাহকদের মোবাইল রিচার্জের পরিমাণ বাড়িয়েছে গ্রামীণফোন। আগামী ১০ জানুয়ারি থেকে গ্রামীণফোনে সর্বনিম্ন রিচার্জ ৩০ টাকা করা হয়েছে।
গ্রাহকদের এসএমএস এবং মোবাইল অ্যাপে বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। হঠাৎ করে রিচার্জ লিমিট বাড়িয়ে দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।
স্মার্টফোনে ইনস্টল করা অ্যাপে অপারেটরটি জানিয়েছে, ‘আগামী ১০ জানুয়ারি থেকে সর্বনিম্ন রিচার্জ অ্যামাউন্ট ৩০ টাকা হয়ে যাবে। ’ এছাড়াও এসএমএসে বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এসএমএসে বলা হয়, ‘প্রিয় গ্রাহক, আগামী ১০ জানুয়ারি থেকে সর্বনিম্ন রিচার্জ এমাউন্ট ৩০ টাকা করা হবে। তবে, ৩০ টাকার নিচের রিচার্জ অফার এবং স্ক্র্যাচকার্ড আগের মত ব্যবহার করা যাবে।
মোবাইল অপারেটরগুলোর রিচার্জ শুরুতে ১০টা ছিল। এছাড়াও বিভিন্ন দামে ও মেয়াদের রিচার্জ কার্ড ছিল। পরে সব অপারেটরে সর্বনিম্ন ২০ টাকা রিচার্জ করা হয়।
গ্রাহকদের ক্ষোভের কথা জানিয়ে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, হঠাৎ করে রিচার্জ লিমিট বাড়ানো ঠিক হয়নি।
তিনি বলেন, সরকারের লক্ষ্যমাত্রা হলো প্রান্তিক জনগণের কাছে টেলিকম সেবা পৌঁছে দেওয়া। প্রান্তিক জনগণ যাতে তাদের ইচ্ছামতো রিচার্জ করতে পারে সেই স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হলো। এটা সাংঘর্ষিক। গ্রাহকদের কখনও বাধ্য করা যায় না। এটি ভোক্তা অধিকার আইন আইনের পরিপন্থি।
তিনি জানান, আগেও ২০ টাকায় ১৯ টাকা দেওয়া হতো। তখন ২০ টাকার অফারগুলো গ্রাহকেরা পায়নি। রিটেইলারদের কাছে তার প্রতিবাদ করেছিলাম।
এর আগে গতবছরের ২২ জুলাই ১০টা থেকে বাড়িয়ে ২০ টাকা করা হয়।