মোহাম্মদ আলী : নতুন ঘর করে দিবে বলে ঘর ভাঙলেও ৫বছরেও মিলেনি ঘর। অগত্যা পরিবার নিয়ে ঠাঁয় নিতে হয়েছে নর্দমার পাশে ঝুপড়ীতে ! যাপন করতে হচ্ছে বিদ্যুৎ, পানি ও পয়োনিষ্কাশনবিহীন অস্বাস্থ্যকর এক মানবেতর জীবন!
রিকশার মেকানিক মাসুদ রানা ৫বছর যাবত স্বস্ত্রীক ৩ সন্তান নিয়ে বসবাস করছেন জামালপুর পৌর এলাকার চালা পাড়ার ড্রেনের মুখে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে। পুরাতন টিনের চাল, কুড়িয়ে আনা কাঠখড়ি দিয়ে ঘরের খুটি, আর সিমেন্টের বস্তা দিয়ে দেওয়া হয়েছে তার ঘরের বেড়া। এমন একটি জোরাতালি ঝুঁপড়িতে পশুর মতো খেয়ে না বসবাস করছেন তিনি। সাধারণ মানুষের গরু ছাগলের গোয়াল ঘরও এর চাইতে ভালো হয়! এখানেই কাটছে তার দিবারাত্রি, সন্তানদের জন্ম ও বেড়া উঠা!
জানা যায়, এর আগে মাসুদ চালা পাড়া সড়কের পাশে ছোট্ট একটি ঘর করে বসবাস করতেন। ৫বছর আগে পৌর কর্তৃপক্ষ পাকা সড়ক নির্মাণের লক্ষ্যে তার সে ভেঙ্গে দেয়। এসময় সে আপত্তি করলে, কর্তৃপক্ষ তাকে নাওভাঙ্গা চরে নির্মাণাধীন গুচ্ছ গ্রামের একটি পাকা ঘর দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু সে প্রতিশ্রুতির ৫বছর অতিক্রান্ত হলেও সে পায়নি ঘরের দেখা। অগত্যা শেষ আশ্রয়টুকু হারিয়ে আজ সে স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে অত্যান্ত মানবেতর জীবনযাপন যাপন করছেন তিনি। এব্যাপারে মাসুদ বলেন, আমি আজ যেভাবে আছি এভাবে একজন সুস্থ সবল মানুষ বসবাস করতে পারে না। আমি আজ বাস্তহারা। আমার যে সামান্য আয় তাতে নুন আনতে পান্তা ফরায়। মানুষ হয়েও আমি পোকামাকড়ের ন্যায় বেঁচে আছি। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী পৌর কর্তৃপক্ষ যদি আমাকে একটি সরকারি ঘর দিত তাহলে হয়তো ছেলে মেয়েদের নিয়ে আমি মানুষের মতো বসবাস করতে পারতাম।
ঘর দিবে বলে ঘর ভাঙলেও ৫বছরেও মিলেনি ঘর
