চাকুরিচ্যুত ও অধিকার বঞ্চিত গ্রামীণফোন শ্রমিক ঐক্য পরিষদ” র তিন দিনের ধারাবাহিক কর্মসূচির শেষ দিনে আজ বসুন্ধরা বারিধারাতে অবস্থিত জিপি হাউস এর সামনে বঞ্চিত শ্রমিকরা কালো কাপড় প্রদর্শন করে বিক্ষোভ করেছে। উল্লেক্ষ যে, বিগত ২ ডিসেম্বর ২০২৪ থেকে চাকুরিচ্যুত শ্রমিকরা ৩ দফা দাবী আদায়ের লক্ষেলাগাতার কর্মসূচির পালন করে চলেছে। আন্দোলনের মূল দাবীগুলো হল অবৈধভাবে চাকুরিচুত শ্রমিকদের চাকুরিতে পুনরবহাল, সকল প্রকার আইনি পাওনা পরিশোধ এবং শ্রমিক নির্যাতনে জড়িত কর্মকর্তাদের শাস্তির দাবী জানানো। গ্রামীণফোন, বাংলাদেশের অন্যতম লাভজনক প্রতিষ্ঠান, দীর্ঘদিন ধরে শ্রম আইন লঙ্ঘন করে আসছে। প্রতিষ্ঠানটি তথাকথিত স্বেচ্ছায় অবসর ও মিথ্যা অভিযোগ এর নামে প্রায় ৩,৩০০ শ্রমিককে চাকরিচ্যুত করেছে এবং শ্রমিকের পাওনা ৫% লভ্যাংশের বিলম্ব জরিমানা পরিশোধে অবহেলা করে চলেছে। চাকুরিচ্যুত শ্রমিকদের স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের দোসর কতিপয় কর্মকর্তা ও আওয়ামী মদতপুষ্ট ইউনিয়ন নেতারা অনৈতিক ও অমানবিক প্রক্রিয়া ব্যাবহার করে চাকুরী ছাড়তে বাধ্য করেছে। শ্রমিকরা এই অমানবিক কাজে জড়িতদের শাস্তির দাবী করে।
আজকের কর্মসূচীতে শ্রমিক নেতারা বলেন, আওয়ামীলীগ এর দোসর সি ই ও ইয়াসির আজমান সরকারের মন্ত্রী, এম পি, আমল-প্রশাসন ব্যাবহার করে দেশের সবচেয়ে লাভজনক কোম্পানিতে বিনা বাধায় দেশের আইন কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নির্বিচারে শ্রমিক ছাঁটাই করেছে। দুর্নীতির পথে কোম্পানিকে পরিচালনা করে সরকারের শত শত কোটি টাকা ফাকি দিয়েছে। এমনকি সুপ্রিম কোর্ট এর রায় না মেনে ও হীন-স্বার্থে পুনরায় মামলা করে শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার বঞ্চিত করে গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের মানবাধিকার লঙ্ঘন করে তা চলেছে। একাজে তাঁদের সহযোগিতা করেছে চিহ্নিত স্বৈরাচারের দালাল যথা ফজলে নূর তাপস, মুস্তাফা জব্বার, তারানা হালিম, জুনাইদ পলক প্রমুখ। দেশের বিচার বিভাগকে প্রভাবিত করে, সমস্যা সমাধান না করে, আইনের বিধানকে পদদলিত করে একের পর এক মামলা দায়ের করে ন্যায়বিচার কে বিলম্বিত করে চলেছে। কর্মসূচী শেষে বক্তারা দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচির অব্যহত রাখার ঘোষণা দেন।