নিজস্ব সংবাদদাতা : জামালপুর শহরে ফুলবাড়িয়া পশ্চিম পাড়া গ্রামে কায়েম উদ্দিনের বাড়িতে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও প্রাণ নাশের হুমকি পরে সেনাবাহিনীর এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
জানা যায়, শহরে ফুলবাড়িয়া পশ্চিম পাড়া কায়েম উদ্দিন মাতার আকিমন নেছা বিবির নিকট হতে দলিল মূলে প্রাপ্ত হইয়া ২৫শতাংশ ভূমি ৪০ বছর যাবৎ পৌর কর পরিশোধ করে, বিদুৎ ও গ্যাস সোংযোগ নিয়ে বাড়ি নির্মাণ করে ভোগদখল করে আছেন। ঐ এলাকার ভূমিদুস্য সাদেক আলী গংয়ের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী বিভিন্ন জায়গা জমি দখল লুটতারাজ করে বেদখলের চেষ্টা করছে। বর্তমানে জমির মালিক কায়েম উদ্দিন অবসর প্রাপ্ত একজন সরকারি কর্মকর্তা ময়মনসিংহ বসবাস করে বিদায় তার জমি বিক্রি করার কথা প্রকাশ করলে ভূমিদুস্য সাদেক আলী গং ৫লক্ষ টাকা চাদাঁ দাবী করে। চাদাঁ দিতে অস্বীকার করলে জামালপুর জজ কোর্টে মামলা করে হলেও জমি বিক্রি করতে দিবেনা ভূমিদুস্য। চাদাঁ না দিলে প্রাণে মেরে ফেলবো। ভূমিদুস্য সাদেক আলী গং বাদী হয়ে এই জমি নিয়ে একটি মামলা দায়ের করলে দোতরফা শুনানি অন্তে মামলাটি কোর্ট থেকে খারিজ করে দেয়। পরে কোর্টে কাইয়ুম উদ্দিনের পক্ষে রায় দেয়। পরবর্তীতে কায়েম উদ্দিন বাদী হয়ে জামালপুর সিনিয়র সহকারি জজ ১ম আদালতে নিষেধাজ্ঞার ভূমিদুস্য সাদেক আলীর গংদের বিরুদ্ধে মামলা করলে আদালত তফসিল বর্ণিত ভূমি হইতে বাদী পক্ষকে যাহাতে জোরামূলে বেদখল করিতে না পারে,বাদীপক্ষের বসত বাড়ি ভাংচুর না করিতে পারে এবং বাদীপক্ষের শান্তিপূর্ণ ভোগদখলের কোনরুপ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করিতে না পারে তৎমর্মে ভূমিদুস্য সাদেক আলী গংদের অন্তবর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞার আদেশ দ্বারা বাতিল করে কোর্টে আদেশ অমান্য করে গত ৭ আগষ্ট তার দলবল নিয়ে কায়েম উদ্দিনের বাড়িতে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট করে। পরে সেনাবাহিনি ঘটনাস্থলে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। যেখানে দেশে সরকার রদবদল চলছে সেখানে এই সুযোগে ভূমিদুস্য সাদেক আলী গংয়ের জমি দখলের চেষ্টার কার্যক্রম চলছে। ভূমিদুস্য সাদেক আলী গংদের ভয়ে কায়েম উদ্দিনের পরিবারের লোকজন এখন প্রাণনাশের হুমকি মুখে রয়েছে। ভোটার আইডিতে নাম পরিবর্তন করিয়ে সহজ সরল মানুষদের জমি মিথ্যা মামলা করে দখল চেষ্টা করে আসছে ভূমিদুস্য সাদেক আলী গং।
উল্লেখ্য, কায়েম উদ্দিনের শহরে ফুলবাড়িয়া পশ্চিম পাড়া গ্রামে আকিমন নেছা বিবি ১৯৬২সন হতে সিংহজানি মৈাজা জমির সিএস খতিয়ান ৯৫০ দাগনং ৩৩৫৯ আরওআর খতিয়ান নং ৫৯৬ দাগনং ৭০৬৯ দাগে ৩৪ শতাংশ ভূমি প্রকৃত ভুমির মালিকের নিকট হইতে ৬খন্ড সাব কওলা মূলে খরিদ করিয়া ৬০ বছরের অর্ধকাল যাবৎ আকিমন নেছা ও তার সন্ত্রানরা বাড়ি-ঘর নির্মাণ করে বসবাস করে ভোগ দখল করে আসিতেছে। ১৯৮২ সনে বিআরএস রের্কড জরিপ আগত হলে ১৪৪ ও ৫১০১ খতিয়ানে দাগনং ১৭০২৩ ১৭০২৪ দাগ ও খতিয়ান ভুক্ত হয়ে আকিমন নেছা বিবি ও কায়েম উদ্দিনের নামে চুড়ান্ত ভাবে রের্কড প্রচারিত হয়েছে। কাইয়ুম উদ্দিন ও আকিমন নেছা বিবির ওয়ারিশগন সরকারি খাজনা পরিশোধ করে আসছে।