মোহাম্মদ আলী : একজন মানুষের ব্যক্তিত্বের বিভিন্ন দিক বা গুণাবলী পাশের মানুষকে আকৃষ্ট করে, মুগ্ধ করে, কাছে টানে। অনেক সময় তার সে আলাদা বৈশিষ্ট্য তাকে আলাদা পরিচিত এনে দেয়। তেমনি এক ব্যতিক্রমী বালক মিলন সরকার (২৬)। যে তার চুলকে স্বপ পূরণের সিঁড়ি বানাতে চায়।
মিলনের বাড়ি জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার কিংজাল্লা গ্রামের। বাবা শাহজাহান একজন ছোটখাটো ব্যবসায়ী। সে ২০২৪ সালে ইসলামপুর কলেজ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছে।
মিলনের স্বপ্ন মিডিয়ায় কাজ করার। তার বিশ্বাস মিডিয়া কাজ করতে বিশেষ কোনো গুণের প্রয়োজন হয়। কিন্তু, তার গায়ের গড়ন বা রূপ কোনোটাই মানুষকে আকৃষ্ট করে না। তাই, মাথার চুলকে সে তার স্বপ্ন পূরণের সিঁড়ি হিসেবে বেঁছে নিয়েছে। দীর্ঘ ২৫ মাসের সাধনায় ও পরিচর্যায় সে তার মাথার চুলকে এমন রূপে বা শ্যাভে এনেছে যে, এখন সবাই তাকে ফিরে ফিরে দেখে। তাকে দেখে দূরের মানুষও কাছে চলে আসে। পাঁশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলে। চুলের প্রশংসা করে, চুল সম্পর্কে জানতে চায়। শুধু সাধারণ মানুষ নয়, মিডিয়া পাড়ার নায়ক নায়িকা, প্রযোজক ও পরিচালকদেরকেও তার চুল কাছে টেনেছে।
মিলন ইতোমধ্যে স্বপ্ন পূরণের সিঁড়িতে হাটতে শুরু করেছে। অভিনয় করেছে প্রায় ২০টির মতো নাটকের পার্শ্ব চরিত্রে। তাদের মধ্যে ইশারা, আলাদা দুলাল, অবুঝ মন, চরিত্রের কোনো নাম নেই, কিছু গল্পে থাকে না কথা, ভালোবাসার রঙ, এলাকার ভাবি উল্লেখ্য যোগ্য। মুক্তির অপেক্ষায় আছে টিম আফ্রিকানসহ আরো কিছু নাটক।
এব্যাপারে স্বপ্নবাজ মিলন বলেন, মিডিয়ায় কাজ করার স্বপ্ন দেখা সহজ। কিন্তু, সেখানে পৌঁছা বা টিকে থাকা বেশ কঠিণ। যা আমার মতো অজোঁ পাড়াগাঁয়ের গরীবের দুলালের পক্ষে অসম্ভব প্রায়। আমার যেহেতু বিশেষ কোনো গুণ নেই তাই আমি আমার চুলকে আমার স্বপ্ন পূরণের সিঁড়ি বানিয়েছি। আমি মনে করি প্রথমে দর্শনধারি, পরে গুণবিচারি। যোগ্য প্লাটফর্ম পেলে অনুশীলনের মাধ্যমে যোগ্যতা অর্জন করাও সম্ভব বলে, মনে করে এই স্বপ্নদ্রষ্টা।
তার এ স্বপ্ন পূরণে সে মিডিয়া সংশ্লিষ্ট নির্মাতা উদ্যোক্তা ও দেশবাসীর সহযোগিতা দোয়া কামনা করেছে।