কোটা প্রথা বাতিল আন্দোলনটি একটি সময়ের সেরা যৌক্তিক আন্দোলন । রাষ্ট্রীয় বৈষম্য দূর করতে এবং মেধা সম্পূর্ন দেশ গড়তে এই আন্দোলনের বিকল্প নেই । ২০১৮ সালে সরকার কোটা প্রথা বাতিল করলেও ২০২৪ সালে উচ্চ আদালতের মাধ্যমে কোটা আবার ফিরে আসে। যাহা বৃহৎ গোষ্ঠী মেধাবী ছাত্র সমাজকে হতাশ করে। ছাত্র সমাজ মনে করে এটা ছাত্র সমাজের সাথে এক ধরনের প্রতারণা এই ছাড়া আর কিছুই নয়। এই পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্র সমাজ রাজপথে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়,কলেজ ও রাজপথে আন্দোলন ছড়িয়ে দেয়। এরমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন যারা মুক্তিযোদ্ধার নাতিপুতি তারা কোটা পাবেনা তবে কি রাজাকারের বাচ্চাকাচ্চারা পাবে?
প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্য মেধাবী ছাত্র সমাজ আরো ফুঁসে উঠে এবং ক্ষুদ্ধ হয়ে লক্ষ লক্ষ মেধাবীরা আন্দোলনে নেমে পড়ে…
এবং স্লোগান ধরে….
আমি কে তুমি কে
রাজাকার রাজাকার
কে বলেছে কে বলেছে
স্বৈরাচারী স্বৈরাচার।
এই যেন ৯০ এর প্রতিচ্ছবি ভেসে উঠেছে। ঠিক এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের মত।
গত ১৫ জুলাই ঢাবিতে ছাত্রদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বাহিরের থেকে টুকাই ভাড়া করে এনে সাধারণ ছাত্রদের উপর অমানবিক হামলা করে ছাত্রলীগ ও ঠুকাই বাহিনী । প্রায় ৫০০ ছাত্র আহত হয়।
ঠিক পরের দিন ছাত্র সমাজের আন্দোলন আরো বিস্ফোরিত হয় এবং সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ে ।
এই যৌক্তিক সাধারণ ছাত্র সমাজের আন্দোলনে পুলিশ গুলিতে ও ছাত্রলীগের হামলায় ৭ জন মেধাবী ছাত্র শহীদ হন ।
ছাত্র ” জন জোটের পক্ষে আমরা শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি এবং হামলাকারীদের দৃষ্টান্ত শাস্তির দাবি জানাচ্ছি ।
ছাত্র জন জোটের পক্ষে বক্তব্য পেশ করেন – ছাত্র জন জোটের প্রধান সমন্বয়ক মোঃ মোশাররফ হোসেন এবং কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক তারেক আজিজ ।
ছাত্র জন জোটের সাথে একমত পোষণ করেন ” জন জোট ( পিপলস এলায়েন্স ) এর প্রধান সমন্বয়ক ফার্মাসিস্ট মুজাম্মেল মিয়াজী, কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মার্চেন্ডাইজার মাহবুব শামীম ও কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা হারুন-অর – রশিদ খান সহ কেন্দ্রীয় নেতৃত্ববৃন্দ ।