অন্যের সংসারে মা অনলাইন সংস্করণ – ০৪ (২৪ থেকে ২৯ পৃষ্ঠা)
আমাদের বাড়িটি মাটির দোতলা। এলাকায় যাদের টিনের ছাউনি দেওয়া মাটির বাড়ি আছে, তারাই ধনাঢ্য পরিবার। মা আমাদের (আমি, ফিরোজা বুবু এবং সবচেয়ে ছোট বোন বেগম) নিয়ে দোতলায় থাকতেন ।
বড়মার দু’মেয়ে সুফিয়া ও আকিমন দু’জনেই তখন শ্বশুর বাড়ি। ফিরোজা বুবু ছোট থাকায় শ্বশুর বাড়ি যাওয়া হয়নি। আমার বড় ফুফু লতিফন যক্ষা রোগী ছিলেন। প্রায় সময় চিকিৎসার জন্য আমাদের বাড়িতে থাকতেন। দাদা তার চিকিৎসা করতেন। বড় ফুফুর চার ছেলে ও তিন মেয়ে। বড় ছেলে আব্দুস ছাত্তার ওরফে মনসুরকে ছোট অবস্থায় আমার ফিরোজা বুবুর সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়। দুলাভাই নওগাঁ কে.ডি স্কুলে লেখাপড়া করতেন। তারপর নওগাঁ ডিগ্রী কলেজ থেকে স্নাতক হন। কিছুদিন তিনি শিক্ষকতা করেন। ২০২০ সালের ৮ সেপ্টেম্বর তিনি ৮৬ বছর বয়সে পরলোক গমন করেন। আমার ধারণা তিনিও উপসর্গহীন করোনায় আক্রান্ত ছিলেন।
আমি তখন ক্লাস থ্রি-তে উঠেছি। ওই সময় আমার বড় ফুফু মারা যান। ফুফুর সব ছেলে-মেয়ে ছিল ছোট-ছোট। এদেরকে দেখাশুনা করার জন্য ফুফার একজন সঙ্গী অর্থাৎ বিয়ের প্রয়োজন ছিল। তাছাড়া ছেলে-মেয়েদের মানুষ করা, বিয়ে দেয়া- এ সব বিবেচনা করে ফুফা আমার মাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন দাদার কাছে ।
আমার বাবা মারা যাওয়ার দুই বছরের মধ্যে আমার ফুফু মারা যাওয়ায় দাদা প্রায় পাগলের মতো হয়ে যান। ফুফার এই প্রস্তাব দাদার কাছে দেয়া হয় প্রথমে। দাদা ভীষণ রাগান্বিত হয়ে এ প্রস্তাব নাকচ করে দিয়ে বলেন, দুনিয়াতে অনেক মেয়ে আছে সেখানে বিয়ে করুক গিয়ে।
বিষয়টা জানাজানি হলো, আমার মায়ের কানেও গেল। সারাদিন আমরা খেলাধুলা, পড়ালেখা নিয়ে থাকতাম। রাতে তিন ভাই-বোন মার সঙ্গে ঘুমাতাম। একদিন মা আমাকে এবং বুবুকে বললেন- ‘তোর দাদাকে বল, আমি তোদের ছেড়ে কোথাও যাবো না।’ কথাটা বলার দায়িত্ব আমাকেই দিলেন। মার মুখে ঐ কথা শোনার পর আমার আর তর সইছিল না।
পরদিন সকালেই দাদাকে বলি- ‘দাদা, তুমি নাকি মাকে অন্য জায়গায় পাঠিয়ে দিবে? মা আমাদের ছেড়ে গেলে আমরা তখন কাকে নিয়ে থাকবো? বাবাকে দেখতে পাই না, এখন মাকেও আর মা বলে ডাকতে পারবো না।’ আমার কথা শুনে দাদা কাঁদলেন এবং বুকে জড়িয়ে ধরে বললেন- ‘আমি বেঁচে থাকতে তা হতে দিব না।’ ছেলের মৃত্যু, বড় মেয়ের মৃত্যু, তারপর এক চোখ অন্ধ ৷ নানা চিন্তা-ভাবনা করতে করতে দাদা খুব মুষড়ে পড়লেন।
এবার মায়ের প্রসঙ্গে ফিরে আসি। দাদা, মায়ের বিয়ের ব্যাপারে রাজী হবেন না- এ কথা মাকে জানালাম। মা খুশি হয়ে নিশ্চিন্ত মনে দিনাতিপাত করতে থাকলেন। একদিন ফুফা আমাদের বাড়িতে এসে দাদাকে বললেন, আমার ৮ হাজার টাকা দাও অথবা ১০ বিঘা জমির পজেশন দাও। একথা শুনে নানা স্তম্ভিত হয়ে যান।
এই প্রসঙ্গে কিছু পিছনের কথা বলা প্রয়োজন। মৃত্যুর আগে ব্যবসার প্রয়োজনে বাবা ফুফাকে ১০ বিঘা জমি লিখে দিয়ে ৮ হাজার টাকা নিয়েছিলেন, সেটা ফুফু বেঁচে থাকতে। ফুফা এও বললেন, যদি মান্নানের মাকে আমার সঙ্গে বিয়ে দেয়া হয় তা হলে ওই টাকার কোনো দাবি থাকবে না। আর জমিটা মান্নানের মায়ের নামেই রেজিস্ট্রি করে দিব।
ফুফার কথা শুনে একটু সময় চাইলেন দাদা। ফুফা ফিরে গেলেন তার গ্রামে।
কিছুদিনপর দাদা লোক মারফত ফুফাকে জানালেন যে, তোমার প্রস্তাবে আমরা কেউ রাজি নই। মান্নানসহ সিরাজের মেয়েরাও এতিম। এদেরকে বাঁচানো এবং মানুষ করা আমার দায়িত্ব। কাজেই তোমার জমি তুমি নিয়ে যাও অথবা বিক্রি করে দাও। আমাদের কোনো আপত্তি থাকবে না। এই অবস্থায় দুই পরিবারের মধ্যে একটা মনস্তাত্বিক লড়াই চলছিল। দাদা-দাদি ভাবতেন, মান্নানকে আমরা একা মানুষ করতে পারবো না। ওর মা ছাড়া ওকে বড় করে তোলা সম্ভব নয় । দাদা-দাদির সিদ্ধান্তে মা এবার আশ্বস্ত হলেন ।
আমার নানাবাড়ির অবস্থা ভালো নয়। অল্প জমি, খুব টানাটানির সংসার। নানি এবং তিন মামা তখন বেঁচে ছিলেন। মা প্রায়ই আমাদের নিয়ে নানাবাড়ি যেতেন । নানা বাড়িতে ভাঙ্গা একটা কলের গান বা গ্রামোফোন ছিল।
সে সময় রেকর্ডে গান বাজানো হতো গ্রামোফোনে। হাতল ঘুরিয়ে পাম্প দিয়ে গ্রামোফোন চালাতে হতো। আমি চেষ্টা করতাম ওটা চালিয়ে গান শুনতে। কিন্তু ওই কলেরগান বা গ্রামোফোনটি নষ্ট থাকার কারণে শত চেষ্টা করেও ওর হাতির শুঁড়ের এত পিতলের চোঙ্গা থেকে কোনো সুর বের করতে পারি নাই। একদিন মার কাছে বায়না ধরলাম, কলের গানটি (ভাঙ্গা কলের গানের কিছু অংশ) দাদাবাড়ি নিয়ে যাব। মামা, নানি আমার আবদার মেনে নিলেন। অবশ্য কলের গানটি আমাদের বাড়িতে নিয়ে গেলেও সেটি আর চালাতে পারিনি স্প্রীং ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি নষ্ট থাকার কারণে।
দিন দিন দাদা খুব অন্যমনস্ক হয়ে পড়লেন। সব সময় চিন্তামগ্ন থাকতেন। সে সময় ফুফাকে টাকা ফেরত দেয়া অসম্ভব না হলেও সংসারের কথা বিবেচনা করে (যেভাবেই হোক জমি আটকাতে হবে) দাদা মায়ের বিষয়টি পূনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত নিলেন ।
এবার দাদিকে দিয়ে ফুফার সঙ্গে মায়ের বিয়ের বিষয়টি উত্থাপন করালেন। দাদি আমার মাকে বললেন- ‘দেখো মা, আমার মেয়ের ঘরে চার ছেলে ও ছোট ছোট তিন মেয়ে এতিম হয়ে আছে। চিন্তা করলে আমার বুক ফেটে যায়, তুমি রাজি হয়ে যাও মা।’ তুমি আমার মেয়ের মতো হয়ে থাকবে চিরদিন।
এই কথা শুনে মা হতবাক হয়ে গেলেন। এতদিন কী শুনে আসছেন আর এখন কী শুনছেন? সেদিন দেখেছিলাম, আমার মায়ের মলিন বদন আর করুণ আঁখি। কথাটা শোনার পর থেকে মা নাওয়া-খাওয়া একরকম ছেড়েই দিলেন। সারাক্ষণ শুধু কান্নাকাটি করতেন। আমি তখন মায়ের কোলে বসে আঁচল দিয়ে চোখ মুছে দিতাম ।
মা একদিন আমাদের নিয়ে আবার নানাবাড়িতে চলে গেলেন। এবার যাওয়ার সময় বাক্স-পেটরা, লেপ-কাঁথা কিছুই বাদ রাখলেন না। মালপত্র গরুর গাড়িতে উঠানো হলো। এ সময় দাদা মাকে বললেন- ‘কোথায় যাও?’ প্রতিউত্তরে মা বললেন- ‘বাবার বাড়ি যাচ্ছি, আর আসবো না।’ মায়ের কথা শুনে দাদা-দাদি ও শরিকের লোকেরা খুব মনঃক্ষুন্ন হলেন। মা কারো বাধা না মেনে আমাদের নিয়ে তাঁর বাবার বাড়ি চলে গেলেন।
প্রায় ১৫/২০ দিন পরে দাদা গরুর গাড়ি নিয়ে মাকে আনতে নানা বাড়ি গেলেন। মা আর আমাইপুকুর যাবেন না বলে দাদাকে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন। দাদা তখন মাকে বললেন- ‘তাহলে আমার নাতি মান্নানকে দাও, আমি ওকে লেখাপড়া করাবো। এ দায়িত্ব আমাকে দিয়ে গেছে সিরাজ।’ এই বলে দাদা প্রচণ্ড রেগে গিয়ে আমাকে হাত ধরে জোর করে গরুর গাড়িতে তুলতে চাইলেন। কিন্তু আমার মা কোনোমতেই আমার হাত ছাড়ছিলেন না। দাদা নিরুপায় হয়ে বাড়ি ফিরে গেলেন ।
মা আমাদের জড়িয়ে ধরে খুব কাঁদলেন। মুহূর্তটা এখনো আমার স্পষ্ট মনে আছে। মা প্রতিজ্ঞা করলেন, আমাদের নিয়ে যদি ভিক্ষা করেও খেতে হয় তবুও আর আমাইপুকুর যাবেন না।
এভাবে বেশ কিছুদিন কেটে গেল। একদিন বড় মামা মাকে সরাসরি বললেন, ‘দেখো হাফেজান (আমার মায়ের নাম) আমরা গরীব মানুষ। তোমার তিন বাচ্চাকে লালনপালন করতে পারবো না। তুমি বরং তোমার শ্বশুরের কথা রাখো।’
মামার এই কথা শুনে মা অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললেন- ‘তোমরাও কি আমাকে তাড়িয়ে দিবে? আমি এই তিন বাচ্চাকে নিয়ে কোথায় যাবো?’ মার এবার বিশ্বাস হলো যে, আমার দাদা নিশ্চয়ই মামাদের কোনো না কোনোভাবে হাত করেছেন। তাদের শেষ সিদ্ধান্ত যেভাবেই হোক না কেন তারা আমার মাকে বাড়ি থেকে বের করে দিবে।
প্রচণ্ড চাপের মধ্যে মা একদিন বাক্স- পেটরা এবং আমাদের নিয়ে আবার আমাইপুকুর চলে আসলেন। তখন থেকে আমার মনের মধ্যে মাকে হারানোর এক শূন্যতা ভর করলো। মা আমার মাধ্যমে আবারো দাদার কাছে তাঁর আগের সিদ্ধান্তের পুনরাবৃত্তি করালেন।
আমি তখন ছোট হলেও আস্তে আস্তে সবই বুঝতে পারি। কিন্তু আমার করার কিছুই ছিল না। আমার বন্ধুদের অনেকেই ইতিমধ্যে বিষয়টি জেনে গেছে।
ফুফা আবারো আমাইপুকুরে আসলেন এবং দাদার সঙ্গে শলাপরামর্শ করে বিয়ের দিন, তারিখ ঠিক করে গেলেন। আমি কিন্তু তখনো এ বিষয়ে কিছু জানি না। মা আবারো ‘না’ বলে দিলেন এবং জীবন দিয়ে এটা ঠেকানোর প্রতিজ্ঞা করলেন। এর মধ্যে আরো জট বেঁধে গেল ।
ফিরোজা বুবু তখনো ছোট, শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার বয়স হয়নি। দুলাভাই নওগাঁ থেকে আমার বোনের কাছে চিঠি লিখে জানিয়ে দিলেন যে- ‘আমার বাবার সঙ্গে তোমার মায়ের যদি বিয়ে না হয়, তাহলে তোমাকে তালাক দিতে বাধ্য হবো।’ ফিরোজা বুবু মাকে চিঠি পড়ে শোনালেন। তখনকার চিঠি পড়ার ঘটনাটা আমার এখনও মনে হয়। মা লেখাপড়া জানতেন না। তবে নিয়মিত সুর করে কোরআন পাঠ করতেন। আমি অনেক সময় মায়ের জায়নামাজে বসে তাঁর কোরআন পাঠ শুনতাম ।
দুলাভাইয়ের চিঠিতে বুবুকে তালাক দেওয়ার কথা শুনে মা মুষড়ে পড়লেন। মা বুঝতে পারলেন, আর বিকল্প কিছু করার পথ খোলা নেই। এদিকে আমার চাচা শামসুল হুদা মাকে নিয়ে প্রায়ই আমাকে কটুকথা বলতেন। চাচার এরকম কটুকথা শুনতে খুব খারাপ লাগতো আমার। শিশুকাল থেকে আমৃত্যু চাচা একই আচরণ করে গেছেন। অথচ চাচা যদি আমাকে আদর-স্নেহ করতেন, তাহলে এসব বাদ-বিসংবাদের সৃষ্টি হতো না কোনদিন। তবে বর্তমানে চাচার পরিবারের সবাই আমার সঙ্গে ভালো আচরণ করেন এবং শ্রদ্ধার চোখে দেখেন ।
হঠাৎ দাদা আমার বন্ধুদের ডেকে বললেন- ‘আগামীকাল তোমরা মান্নানকে নিয়ে আম বাগানে অনেকক্ষণ ধরে খেলাধুলা করবে, প্রয়োজনে তোমাদের যে কারো বাসায় ওকে দুপুরে খাওয়াবে।’ আমি খুব খুশি হয়ে পরদিন সকালে নাস্তা খেয়ে বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে গেলাম। শুধু তাই নয়, বন্ধুদের একজনের বাসায় খাওয়া-দাওয়া করলাম। সারা দিনমান খুব আনন্দে কাটালাম । ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলা খুব পছন্দ করতাম। যেমন ডাংগুলি, মার্বেল ও বদন খেলা আমার খুব প্রিয় ছিল।
ওই দিন মনের আনন্দে খেলা শেষে বাড়ি এসে দেখি, মা নেই । আমার দু’বোনও নেই। দাদাকে জিজ্ঞেস করলাম- ‘মাকে দেখি না, মা কোথায় গেছে?’ দাদিকে বললাম, বড় মাকেও বললাম, কিন্তু সবাই চুপচাপ, কেউ কোনো কথা বলে না। শুধু দাদি বললেন- “ তোর মা বেড়াতে গেছে। চারদিন পর চলে আসবে।’
আমি দাদির কথায় আশ্বস্ত হতে পারলাম না। মা তো এভাবে আমাকে না বলে কোথাও যায় না। আমার বারবার মনে হতে লাগলো, ফুফা হয়তো মাকে আমার কাছ থেকে চুরি করে নিয়ে গেছে। আমি তাকে খোঁজার জন্য রাস্তায় গরুরগাড়ীর পিছনে কাঁদতে কাঁদতে প্রায় ২ মাইল দৌড়াতে থাকি। আর আমার পিছনে পিছনে ছুটতে থাকেন আমার দাদা। একটা সময় দাদা আমাকে ধরে ফেলেন এবং কোলে নিয়ে হাউমাউ করে কাঁদতে কাঁদতে বিলাপ করে বললেন, ‘হায় আল্লাহ আমি এটা কি করলাম?’ সেদিনই প্রথম আমি দাদাকে এভাবে কাঁদতে দেখি। বারবার মনে হতে লাগলো, মা তো এভাবে আমাকে না বলে কোথাও যায় না। সাত-পাঁচ ভেবে রাতের খাবার খেয়ে দাদার সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়লাম। এবারই প্রথম মা ছাড়া দাদার কাছে ঘুমালাম। সেই যে শুরু হলো দাদার কাছে শোয়া যা একটানা চললো ১৫/২০ বছর।
মাকে ছাড়ার প্রথম দিনটা ভালো কাটলো না। শুধু মনে হতে লাগলো- মা কি চিরতরে চলে গেল? কিন্তু বড় হয়ে বুঝেছি, মা যে স্বেচ্ছায় যাননি এ কথাও সত্য। তবুও অদ্যাবধি মায়ের অন্য কোথাও চলে যাওয়া মেনে নিতে আমার খুব কষ্ট হয়। তখন কিছু ভাবতে ভালো লাগছিল না। বাবাকে হারালাম মাত্র দেড় বছর হলো, মাকেও চোখের সামনে পাচ্ছি না, এটাই হয়তো টুকুবাবুর নিয়তি। মা চলে যাওয়ার পর দাদা আমাকে সব সময় কাছে কাছে রাখতেন। প্রাইভেট পড়া ছাড়া সারাক্ষণ আমাকে সঙ্গে নিয়ে সাংসারিক কাজকর্ম দেখভাল করতেন।
তখন থেকেই আমি দাদার নিত্যদিনের বন্ধু হয়ে গেলাম, তাকে নতুন করে জানলাম। দাদার কাছে আমি যা চাইতাম তিনি তাই দিতেন। সব আবদার দাদা পূরণ করতেন। একসময় মায়ের কথা বেমালুম ভুলে গেলাম । ১৫/২০ দিন পরপর মা শ্যামপুর থেকে তিন/চার দিনের জন্য দাদার বাড়ি আসতেন। মার দ্বিতীয় সংসারে হাসিনা নামে আমার আরেক বোনের জন্ম হয়। এই ছোটবোনটি আমাকে বেশী ভালোবাসে।
চলমান …………………..