ছেঁড়াস্মৃতি-আব্দুর রউফ মান্নান

 *রাজনীতিতে হাতেখড়ি*                                                                   অনলাইন সংস্করণ – ০৬ (৩৫ থেকে ৩৯ পৃষ্ঠা)

যখন ক্লাস নাইনে উঠি তখন আমার রোল নম্বর হয়েছিল পাঁচ। এটাই আমার ছাত্র জীবনের সেরা কীর্তি। ক্লাস নাইনে উঠেই আমি বাম ঘরানার ছাত্র সংগঠন ছাত্র ইউনিয়নে যোগ নেই। সেই থেকে রাজনীতি বিষয়ক বই পড়া আমার নেশায় পরিণত হয়। কার্ল মার্ক্স, লেনিন, ম্যাক্সিম গোর্কি, শরৎ চোট্রপাধ্যায়ের বই পড়ে খুব আনন্দ পেতাম ।

১৯৬৩ সালের কথা, নওগাঁর তৎকালীন এসডিও-এর নির্দেশে পুলিশ নওগাঁ বিএমসি কলেজ ছাত্র ইউনিয়নের নেতা মোখলেছুর রহমানকে গুলি করে। পরে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে আমরা স্কুলে ছাত্র ইউনিয়নের পক্ষে ছোট করে এক প্রতিবাদ সভা আহ্বান করি। সভায় বিক্ষোভ মিছিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রাতে নিজের হাতে কিছু পোস্টার লিখি। সারারাত ধরে স্কুলের বিভিন্ন জায়গায় এবং বাজারে পোস্টারে ছেয়ে ফেলা হয়। বিষয়টি আমাদের হোস্টেল সুপারের চোখে পড়ায় তিনি তখনই হেড স্যারের কাছে রিপোর্ট করেন।

যেহেতু পোস্টারগুলো আমার লেখা তাই হেডস্যার সকাল ৯ টায় আমাকে তাঁর বাসায় ডাকলেন এবং পোস্টার লেখার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। চার/পাঁচটা বেত্রাঘাত করে শাসিয়ে বললেন- ‘এরপর যদি কখনো এই ধরনের অপরাধ করিস, তা হলে তোকে স্কুল থেকে বের করে দিব।’ আমি তখন কাঁদতে কাঁদতে হোস্টেলের রুমে চলে আসি। মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলাম, এই স্কুলে আর পড়বো না। দাদা এই সংবাদ শুনে বকাবকি না করে বললেন- ‘তাহলে মহাদেবপুর স্কুলে ভর্তি হও।’ দাদা বুঝতে পেরেছিলেন, বেশ অপমানিত হয়েছি আমি। বন্ধুদের সঙ্গে বিশেষ কোনো কথা না বলে পত্নীতলা গ্রামের সাইদুর ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করলাম। তিনি মহাদেবপুর স্কুলের ছাত্র ছিলেন। দু’দিন পর হোস্টেল ছেড়ে দিলাম। স্কুল থেকে ট্রান্সফার সার্টিফিকেট নিয়ে সাইদুর ভাইয়ের সহযোগিতায় ১৯৬৩ সালে মহাদেবপুর সর্বমঙ্গলা বিদ্যালয়ে ভর্তি হই। হোস্টেলে সিটও পেয়ে গেলাম।

আমার ভর্তি ও হোস্টেলে সিট নেয়ার জন্য দাদাকে আর স্কুলে আসতে হলো না। এই প্রথম আমি স্বেচ্ছায় বাড়ি থেকে প্রায় ২৭ মাইল দূরে ভিন্ন থানায় একটি স্কুলে ভর্তি হয়ে নিজ বাড়িতে ফিরলাম। এখন আমি একা একা চলাফেরা করতে পারবো বলে মনে করি।

*নজিপুর স্কুল থেকে মহাদেবপুর স্কুলে ভর্তি*

চার/পাঁচ দিন বাড়ি থাকার পর বই, খাতা, ট্রাংক লেপ-তোষক এবং একটা পড়ার টেবিল নিয়ে, সন্ধ্যাবেলা নজিপুর থেকে গয়নার নৌকায় রওনা হলাম মহাদেবপুর। পত্নীতলার সাইদুর ভাই আমাকে মহাদেবপুর হাইস্কুলে ভর্তি করতে নিয়ে যান। বর্ষাকালে একসময় নদীপথেই আমাদের যাতায়াত ছিল সহজ এবং সাশ্রয়ী। জীবনে এই প্রথম আমি নৌকায় উঠি। জ্যোৎস্নাস্নাত রাত, ভরাবর্ষায় কানায় কানায় পূর্ণ আত্রাই নদীর বুকে ভাটির টানে আমাদের পালতোলা গয়নার নৌকা চলছে বেশ দ্রুতগতিতে। মনের আনন্দে মাঝিদের একজন ভাটিয়ালি সুরে গাইছে, ‘মন মাঝি তোর বৈঠা নেরে আমি আর বাইতে পারলাম না।’ আহা কী আনন্দ, ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। আমাদের এই গয়নার নৌকায় মাঝি ছিলেন তিনজন, যাত্রী দশজন। নৌকা ছাড়ার কিছুক্ষণ পর একজন বয়স্ক মাঝি মাটির চুলায় ভাত রান্নার আয়োজন করছিলেন।

নৌকার উপর মাটির চুলাতে কীভাবে রান্না করে তা আমি গভীর মনযোগ দিয়ে দেখছিলাম। মাঝি দেশি আলুর ভর্তা করছেন। বেশি করে শুকনো মরিচ দেওয়ায় এই আলুভর্তা লাল রং ধারণ করেছে। তিনভাগে গোল গোল করে ভাগ করা এই আলুর ভর্তা, ঠিক যেন তিনটা বড় বড় কমলা লেবু। রাঁধুনী মাঝি এবার উনুনে দিলেন মাসকলাইয়ের ডাল। কিছুক্ষণ পর মাসকলাই ডালের সুঘ্রাণে চারদিক মোহিত হয়ে গেল, আমার জিহ্বায় জল আসার উপক্রম নির্নিমেষ নয়নে বারবার দেখছি ওই বৃদ্ধ মাঝির ডাল রান্নার দৃশ্য। ভাবছি- মাঝি যদি একবার আমাকে ভাত খাওয়ার কথা বলে তাহলে সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়ে যাবো। মাঝিও আমাকে আড়চোখে দেখছিলেন মাঝে মাঝে। আকাশভরা চাঁদ-তারার লুকোচুরি খেলা, মৃদুমন্দ সমীরণ, সাইদুর ভাইসহ নৌকার প্রায় সব যাত্রী তখন গভীর ঘুমে অচেতন। শুধু জেগে আছি আমি এবং রাঁধুনীসহ তিন মাঝি। নৌকার যাত্রীদের মধ্যে আমিই একমাত্র কম বয়সী ছেলে।

আমার পরনে ইংলিশ হাফপ্যান্ট ও গায়ে টি-শার্ট। মাঝির রান্না শেষ হলে ওরা রাতের খাবার খাওয়ার জন্য নৌকাটা নদীর তীরে নোঙর করলো। আমি বারবার মাঝিদের দিকে তাকাচ্ছিলাম। ভাবছিলাম, এই বুঝি আমাকে ভাত খাওয়ার জন্য ডাকবে। এমন সময় ওই রাধুনী মাঝি আমাকে উদ্দেশ করে বললেন- ‘এই ছেলে তুমি কোথায় যাবে?’ আমি বললাম- ‘মহাদেবপুর স্কুলে পড়ি, সেখানে যাচ্ছি।’ তারপর মাঝি আমার ইপ্সিত কথা জানতে চাইলেন- ‘তুমি কি ভাত খেয়েছো?’ আমি বললাম- ‘বিকেলে বাড়ি থেকে ভাত খেয়ে রওনা হয়েছি।’ মাঝি বললেন- ‘তোমার গ্রামের নাম কী?’ আমি বললাম- ‘আমাইপুকুর।

এক এক করে মাঝির কথার উত্তর দিচ্ছি আর ভাবছি, মাঝিতো এখনো আমার মনের গোপন বাসনার কথা বলছে না। ভাবলাম, মাঝি হয়তো আমাকে দ্বিতীয়বার ভাত খাওয়ার কথা বলবে না। সাতপাঁচ ভাবছি, এমন সময় মাঝি আবার সরব হয়ে প্রশ্নের সুরে বললেন- ‘তুমি কি আমাদের সঙ্গে ভাত খাবে?’ ঝটপট উত্তর দিলাম- ‘খাবো।’ মাঝির মুখে আমার মনের গোপন কথাটি শুনে- আহা কী যে শান্তি পেলাম। তা ভাষায় প্রকাশযোগ্য নয়। আমি সেই লাল আলুর ভর্তা আর মাসকলাইয়ের ডাল দিয়ে অনেক ভাত খেলাম খুব তৃপ্তি সহকারে। দেশ-বিদেশে বহু ঘুরেছি, ভিনদেশের নানা রকম খাবার খেয়েছি। কিন্তু আলু ভর্তা আর মাসকলাইয়ের ডাল দিয়ে এমন মুখরোচক খাবার আর কখনো খাইনি ।

ভাত খাওয়া শেষে রাঁধুনী মাঝি জিজ্ঞেস করলেন- ‘আমাইপুকুরের সিরাজ সাহেবকে চেনো? তিনি আমার পরিচিত। পাঁচ বছর আগে মারা গেছেন। খুব ভালো মানুষ ছিলেন। আমার নৌকা ছাড়া অন্য নৌকায় উঠতেন না।’ আমি অবাক হয়ে মাঝির কথা শুনছিলাম। অপলক তাকিয়ে থাকলাম তার মুখের দিকে। মাঝির কথা শুনছি আর ভাবছি, বাবা যেন দাঁড়িয়ে আছেন আমার সামনে। আমি বাবার কোলে উঠার চেষ্টা করছি। কিন্তু সম্বিত ফিরে দেখি, রাঁধুনী মাঝি আমার সামনে দাঁড়িয়ে অনর্গল কথা বলে যাচ্ছেন।

আমার স্মৃতির আয়নায় আবার বাবার প্রতিবিম্ব ভেসে উঠলো। কতদিন হলো বাবাকে দেখি না। বাবা আজ বেঁচে থাকলে তিনিই আমার স্কুলে ভর্তির ব্যবস্থা করতেন। আমাকে সঙ্গে রাখতেন, কত আদর-সোহাগ করতেন। ভাবতে ভাবতে একসময় বিছানা পেতে ঘুমিয়ে পড়লাম।

ভোর রাতে নৌকা মহাদেবপুরে আত্রাই নদীর ঘাটে এসে ভিড়লো। ঘাট থেকে অল্প দূরেই আমাদের স্কুলের হোস্টেল। বাক্স-পেটরা রিক্সায় নিয়ে হোস্টেলের রুমে উঠলাম। ওইদিন সকাল দশটায় হেডস্যারের সঙ্গে দেখা করলাম। স্যারের নাম জসিম উদ্দীন আকন্দ। তাঁর দেশের বাড়ি সরস্বতিপুর। বেশ গম্ভীর প্রকৃতির মানুষ। সপ্তাহখানিক আগে রাজশাহী জেলার স্বনামধন্য প্রধানশিক্ষক নীলরতন স্যার সপরিবারে ভারতে চলে গেছেন। দুর্ভাগ্য আমার, তাঁর ক্লাসে অংশ নেয়ার সুযোগ আমার হয়নি। আমাকে দেখেই কয়েকটা প্রশ্ন করলেন হেডস্যার। জানতে চাইলেন আমার বাবা ও ভাই-বোন সম্পর্কে। প্রশ্ন করলেন- ‘এতদুর এসে আমাদের স্কুলে ভর্তি হলে কেন? ছোট ছেলে আবার এতিম। তোমার জন্য খুব মায়া হচ্ছে আমার।’ হেড স্যার হোস্টেল সুপারকে ডেকে আমার প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখতে বললেন। সঙ্গে আসা সাইদুর ভাই আমার এক ক্লাস সিনিয়র। এরপর যথারীতি ক্লাস রুমে গেলাম। নতুন ছাত্র হিসেবে আমাকে বন্ধুরা বরণ করে নিলো। এখানে ছেলে-মেয়ে সবাই একসঙ্গে স্কুলে পড়ে। পরে জেনেছিলাম এটাকে কো-এডুকেশন বা সহশিক্ষা বলা হয়। আমার ফেলে আসা স্কুলে এব্যবস্থা ছিল না। সেদিনের ক্লাসে উপস্থিতি ছিল প্রায় ১০০ জনের কাছাকাছি।

ক্লাস শেষ হওয়ার পর হোস্টেলে ফিরে সবার সঙ্গে ডাইনিং রুমে খেতে যাই। ২ জন বাবুর্চি পালা করে রান্না করেন। বয়স্ক বাবুর্চির নাম হুমনা, তবে তিনি ছিলেন ‘কমন মামা‘। আমরা সবাই তাকে মামা বলে ডাকতাম। আর অল্পবয়সী বাবুর্চির নাম আহাদ আলী। এই আহাদ আলী ভাই এখনো বেঁচে আছেন। মহাদেবপুর বাজারে তার একটা মুদি দোকান আছে।

দু’তিন দিন ক্লাস করার পর দেখি নজিপুর স্কুল থেকে আমাদের ক্লাসে আরো চার/পাঁচ জন ছাত্র এসেছে। পুরনো বন্ধুদের পেয়ে বেশ ভালই লাগছিল। তবুও বাড়ির কথা, দাদা-দাদির কথা, নজিপুর স্কুলের বন্ধুদের কথা কোনোমতেই ভুলতে পারছিলাম না। সারাক্ষণ মনমরা হয়ে থাকতাম, কিন্তু কোনো উপায় নেই। এ নিয়েই আমাকে থাকতে হবে, এটাই আমার নিয়তি। রবিবার স্কুল ছুটি থাকতো। পরের সপ্তাহ রবিবার দুপুরে দাদা আমাদের ম্যানেজার কাশেম মাস্টারকে নিয়ে আমার হোস্টেলে এলেন। দাদা এবং স্যারকে দেখে আমি তো হতবাক। এই দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে তারা কী করে এলেন? পরে দাদার মুখে জানলাম, তারা একটা নৌকা রিজার্ভ করে এসেছেন। আমাকে অনেক উপদেশ দিলেন। যাওয়ার আগে দাদা আমার হাতে কিছু টাকা দিলেন। অল্প দিনের মধ্যে আমি স্কুলে এবং হোস্টেলের অনেক ছাত্রের প্রিয় বন্ধু হয়ে গেলাম। আমার খাওয়া-দাওয়া, চলাফেরা খুব ছিমছাম, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। নিয়ম মতো ক্লাস করা, বিকেলে মাঠে খেলা করা আমার নিত্যদিনের অভ্যাসে পরিণত হলো।

ফুটবল, হকি, ক্যারাম খেলা আমার খুব প্রিয় হয়ে গেল। খেলাধুলায় আমার সঙ্গে কেউ পেরে উঠতো না। আমার শরীরে ছিল প্রচণ্ড শক্তি। যে কোনো কাজে আমিই প্রথম হই। খেলাধুলা ছাড়াও চিত্রকলার প্রতি আমার বেশ আকর্ষণ ছিল। ভালো ছবি আঁকতে পারতাম। এ ছাড়া নাটকে অভিনয় করা এবং কবিতা পাঠের চর্চাও ছিল। অনেক সংস্কৃতিমনা মানুষের বসবাস ছিল মহাদেবপুর অঞ্চলে। হিন্দু প্রধান এলাকা, তাছাড়া রাজ-রাজরাদের বসতবাড়ি, বাগান, নাটমন্দির, শানবাধানো বড় বড় পুকুর। এসব দেখে আমার মাঝে মধ্যে মনে হতো, আমি যেন এক ভিন্ন জগতে চলে এসেছি। আমাদের স্কুলের হেড স্যার আমাকে খুব ভালোবাসতেন। লাইব্রেরীতে হাজার হাজার বই ছিল।

স্যার আমাকে এসব বই পড়ায় উৎসাহ দিতেন। বইয়ের এত বিশাল ভাণ্ডার বোধকরি নওগাঁ অঞ্চলের আর কোনো স্কুলের লাইব্রেরীতে ছিল না। রাজা নারায়ণচন্দ্র রায় বাহাদুর তার নানী সর্বমঙ্গলার নামে স্কুলের নামকরণ করেন এস.এম ইনস্টিটিউশন বা সর্বমঙ্গলা বিদ্যালয়। স্কুলের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন নারায়নচন্দ্রের স্ত্রী রাণী নিজেই। আমার মহাদেবপুর স্কুলে ভর্তি হওয়ার মাস খানেক পরে রাজা এবং রাণী সপরিবারে দেশত্যাগ করে কলকাতায় চলে যান। আমরা স্কুলের পক্ষ থেকে রাজা-রাণীকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় সংবর্ধনা দেই। বিদায়ের দিন সকাল বেলা রাজা-রাণী পুষ্পমাল্যে সুশোভিত দৃষ্টিনন্দন একজোড়া সফেদ ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে সমস্ত মহাদেপুর বাজার দক্ষিণ করেন। রাজা-রাণী অশ্রুসজল নয়নে হাত নেড়ে জনগণের অভিবাদন মাহণ করেন। চোখের জলে রাজা-রাণীকে বিদায় জানান তাদের অনুগত প্রজা সাধারণ। এমন বিদায় অনুষ্ঠান আমার জীবনে আর দ্বিতীয়টি দেখিনি। শত শত মানুষ খুব সুশৃঙ্খলভাবে হাঁটছেন সেই পুষ্পমাল্যে সুশোভিত জোড়া ঘোড়ারগাড়ির পিছুপিছু। ‘যেতে নাহি দিব হায়, তবু যেতে দিতে হয়, তবু চলে যায়” বিদায়ের সেই চিরন্তন মর্মবাণী সমবেত মানুষের হৃদয়-মনকে বেদনাবিধূর করে তোলে। শত শত মানুষের চোখে বিদায়ের করুণ অশ্রুধারা। এ যেন জলের এক মহাসরোবর আর একটু হলেই উপচে পড়বে দু’কুল ছাপিয়ে।

চলমান …………………..

(গল্পটি ভালো লাগলে লাইক, কমেন্ট, শেয়ার করুন)