জনরোষের মুখে পালিয়ে গেলেন ঋতুপর্ণা 

পশ্চিমবঙ্গের আরজি কর কাণ্ডের পর রাত দখল কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে গিয়েই প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তাকে।

টলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী গাড়ি থেকে নামতেই শোনা গেল ‘গো ব্যাক…গো ব্যাক’ স্লোগান। তারপরও তিনি প্রতিবাদে অংশ নেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে দ্রুত অভিনেত্রীকে গাড়িতে তোলেন দেহরক্ষীরা। 

এদিন রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্লোগানের জোর আরও বাড়তে থাকে কলকাতায়। ১৪ অগস্টের মতো শ্যামবাজারে এদিনও ছিল প্রচুর মানুষ। তাদের হাতে মোমবাতি, প্ল্যাকার্ড। 

হঠাৎ ঋতুপর্ণা এসেছেন শুনেই চিৎকার করে ওঠেন আন্দোলনকারীরা। কালো কাঁচের গাড়িতে গিয়ে তারা ধাক্কা মারতে থাকেন। 

এসময় সাংবাদিকদের ঋতুপর্ণা জানান, একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে এদিন আন্দোলনে যোগ দিতে এসেছেন তিনি। কিন্তু কেন এমন বিক্ষোভের মুখে পড়তে হলো, তা স্পষ্ট নয়।

এর আগে ১৪ অগস্ট যখন রাত দখল হয় তখন দেশে না থাকার কারণে সেখানে যোগ দিতে পারেননি অভিনেত্রী। তবে দুদিন পর প্রতীকী প্রতিবাদ জানাতে শঙ্খ বাজাতে গিয়ে চরম কটাক্ষের শিকার হন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। 

সেই ঘটনার পর ৪ সেপ্টেম্বর যখন ফের রাত দখলের ডাক দেওয়া হয় আরজি করের নির্যাতিতার বিচার চেয়ে, তখন আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়াতে এসেছিলেন ‘অযোগ্য’ অভিনেত্রী। কিন্তু তাকে সেখানে গ্রহণ করল না সাধারণ মানুষ। উল্টো জনরোষের মুখে পড়ে রীতিমতো পালিয়ে যান তিনি। 

তবে গাড়িতে উঠে বেরিয়ে যেতে চাইলেও নিস্তার পাননি। ঋতুপর্ণার গাড়িতে রীতিমতো ধাক্কা দেন আন্দোলনকারীরা। কিছুটা দূরে এগিয়ে গিয়ে অভিনেত্রীর গাড়ি একটু দাঁড়াতেই ফের গাড়িতে ধাক্কা মারতে দৌড়ান এক যুবক। 

এসময় তারা চিৎকার করে বলেন, ‘ঋতুপর্ণা পালিয়ে গেছে।’