ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাইকের প্রচারণা কমছে দুই ঘণ্টা। নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী রাত ৮টার পরিবর্তে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে মাইকে নির্বাচনী প্রচারণা শেষ করতে হবে। অর্থাৎ নতুন নিয়ম বাস্তবায়ন হলে দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মাইকে প্রচারণা করা যাবে। এ সংক্রান্ত আচরণ বিধিমালার খসড়া চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিতসহ প্রচারণায় পোস্টার না রাখার লক্ষ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আচরণ বিধিমালা তৈরি করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আচরণ বিধিমালার খসড়া প্রায় চূড়ান্ত করা হয়েছে। এখন তা অনুমোদনের জন্য নির্বাচন কমিশন সভায় উপস্থাপন করা হবে।
আচরণ বিধিমালায় খসড়া প্রস্তাবে দেখা গেছে, কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাদের পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি প্রচারণাকালে কোনো নির্বাচনি এলাকায় মাইক বা শব্দের মাত্রা বেশি ব্যবহার করা যাবে না। দুপুর ২টা থেকে ৬টা পর্যন্ত মাইক ব্যবহার করা যাবে। কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে কোনো রাজনৈতিক দল, অন্য কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ২০ অনুসারে প্রতীক বরাদ্দের পূর্বে জনসংযোগ এবং ডিজিটাল বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নির্বাচনি প্রচারণা ব্যতীত অন্য কোনো প্রকার প্রচার-প্রচারণা শুরু করতে পারবে না।
খসড়ায় আরও দেখা গেছে, কোনো প্রার্থী বা তার নির্বাচনি এজেন্ট বা অন্য কোনো ব্যক্তি ডিজিটাল বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে নির্বাচনি প্রচার-প্রচারণা পরিচালনা করতে পারবে। তবে উক্ত ক্ষেত্রে প্রার্থী বা তার নির্বাচনি এজেন্ট বা ব্যক্তিকে সংশ্লিষ্ট ডিজিটাল বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নাম, অ্যাকাউন্ট আইডি, ই-মেইল আইডিসহ অন্যান্য শনাক্তকরণ তথ্যাদি প্রচার-প্রচারণা শুরুর পূর্বে রিটার্নিং অফিসারের নিকট দাখিল করতে হবে। ডিজিটাল বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নির্বাচনি প্রচারণাকালে ব্যক্তিগত চরিত্র হনন করা যাবে না। কোনো বক্তব্য বা বিবৃতি, কোনো ধরনের তিক্ত বা উসকানিমূলক বা মানহানিকর কিংবা লিঙ্গ, সাম্প্রদায়িকতা বা ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগে এমন কোনো বক্তব্য বা বিবৃতি দিয়ে কনটেন্ট বানানো ও প্রচার করা যাবে না। ভোটগ্রহণ শুরুর ৪৮ ঘণ্টা আগে সব প্রকারের অনলাইন প্রচারণা থেকে বিরত থাকতে হবে।