নিজস্ব প্রতিনিধি : জামালপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের নারিকেলী গ্রামের বাসিন্দা সাংবাদিক এম.এ রফিক একই গ্রামের মোঃ আব্দুস ছাত্তার, পিতা মৃত সমশের আলীর নিকট থেকে ২০০৬ সালে নারিকেলী মৌজার খতিয়ান নং-৩২০, জেএল নং-১২৬, দাগ নং-৪, শ্রেণি-কান্দা এর মধ্যে ২৭ শতাংশের কাতে ০৯ শতাংশ জমি দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা মূল্য নির্ধারণ করে বায়না বাবদ পঞ্চাশ হাজার টাকা পরিশোধ করে জমির দখল বুঝে নেয়। সে দীর্ঘ প্রায় ১৮ বছর যাবৎ উক্ত জমিতে বসতবাড়ী নির্মাণ করে বসবাস করে আসছে। জমির মালিক ছাত্তার বায়না করলেও জমি রেজিষ্ট্রি করে না দেওয়ার জন্য নানা রকম তালবাহানা শুরু করেন। এই নিয়ে গ্রামে শালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। শালিস বৈঠকেও স্বাক্ষীদের মাধ্যমে ছাত্তারের পঞ্চাশ হাজার টাকা বায়না নেওয়া এবং সাংবাদিকের দখল প্রমাণ হয়। শালিসের মাধ্যমে সাংবাদিক রফিককে জমি লিখে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। শালিস বৈঠক অমান্য করে আব্দুস ছাত্তার বাদী হয়ে উক্ত ঘটনা নিয়ে হয়ে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করে। যার নং ৮৯৭(১)২০২৪। মামলা হওয়ার পর বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আপোষ মিমাংসার জন্য জেলা লিগ্যাল এইড অফিসে প্রেরণ করে। লিগ্যাল এইড অফিসেও মামলার বিবাদী মোঃ আঃ রফিকের পক্ষে পঞ্চাশ হাজার টাকা বায়না সঠিক বলে রায় প্রদান করেন সিনিয়র সহকারী জজ। লিগ্যাল এইডের নির্দেশনা না মেনে পুনরায় মামলা পরিচালনা করেন মামলার বাদী আব্দুস ছাত্তার। কিন্তু বিজ্ঞ আদালত সমস্ত কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে এবং স্বাক্ষীদের বক্তব্যের মাধ্যমে মামলাটি খারিজ করে দেন। মামলা খারিজ হওয়ার পর হতেই একটি প্রভাবশালী মহলের যোগসাজশে উক্ত বায়নাকৃত জমিটি অন্যত্র বিক্রি করার পায়তারা করে আসছে মামলার বাদী আব্দুস ছাত্তার। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সাংবাদিক এম.এ রফিক বলেন আব্দুস ছাত্তার আমার থেকে জমির বায়না নিয়ে ১৮ বছর যাবৎ জমির দখল বুঝিয়ে দিলেও সে আমাকে এখনও আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে জমি রেজিষ্ট্রি করে দিচ্ছে না। সে প্রতারণার মাধ্যমে অন্যের নিকট জমি বিক্রি করার অপচেষ্টা করছে।
জামালপুরে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে জমি দখলের অপচেষ্টা
