ফুয়াদ খন্দকার : জামালপুরে আধুনিক প্রযুক্তিতে লাভজনক ভাবে আখের সাথে সাথী ফসল চাষাবাদ শীর্ষক মাঠ দিবস পালিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ১৮ ফেব্র“য়ারি দুপুরে মেলান্দহ উপজেলার নয়ানগর এলাকায় আখের সাথে সাথী ফসল হিসেবে ডাল মসলা ও সবজি জাতীয় ফসল উৎপাদন প্রকল্পের অর্থায়নে পাবনার ঈশ্বরদীর বাংলাদেশ সুপার ক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট এই অনুষ্ঠান আয়োজন করে। সুপার ক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রকল্প পরিচালক ড. মো: আবু তাহের সোহেল এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক ড. কবির উদ্দিন আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুপার ক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট, জামালপুর উপকেন্দ্রে প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ইনচার্জ ড. খন্দকার মহিউল আলম, দেওয়ানগঞ্জ জিল বাংলা সুগার মিলস লি: এর মহাব্যবস্থাপক (কৃষি) মো: আমিনুল ইসলাম। এছাড়াও কৃষক সুমন মিয়া বক্তব্য রাখেন। এ সময় বক্তারা বলেন, ২০১৯ করোনাকালীন সময়ে সরকার আখ চাষের সাথে সাথী ফসল হিসেবে ডাল মসলা ও সবজি জাতীয় ফসল উৎপাদনের জন্য একটি প্রকল্প চালু করে। মূলত আখ চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে এই প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে যেসব অঞ্চলে সুগার মিল আছে সেসব এলাকায় আখের চাহিদা পূরণের জন্য জামালপুরে প্রকল্প চালু করা হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে জামালপুরে কৃষকদের ব্যাপকভাবে সাড়া ফেলেছে। কৃষকরা এই সমন্বিত চাষে বেশ লাভবান হচ্ছে। আখ চাষে যে পরিমাণ খরচ হয়। একই সাথে সাথি ফসল বিক্রি করে আখ চাষের খরচ মিটিয়ে আরো লাভ করছেন। এই সমস্ত লাভজনক চাষে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান বক্তারা। কৃষক সুমন মিয়াা জানান, এবছর তিনি ৩৩ শতাংশ জমিতে আখ চাষ করেছেন। সাথী ফসল হিসেবে আলু চাষ করে বাম্পার ফলন পেয়েছেন। এছাড়াও তিনি মুগ ডাল চাষ করে বেশ লাভবান হয়েছেন। তিনটি ফসল চাষ করে তার মোট খরচ হয়েছে ৩০ হাজার টাকা।সাথী ফসল বিক্রি করেই দুই লক্ষ টাকা আয়ের কথা বলছেন। তিনি কৃষকদের আখ চাষে এগিয়ে আসার কথা বলেন।
জামালপুরে ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউটের মাঠ দিবস পালিত
