জামালপুরে হঠাৎ করে গবাদি পশুর লাম্পি স্কিন রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। যা ছড়িয়ে পড়েছে ছোট ছোট প্রান্তিক খামার পর্যন্ত। এতে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন জেলার খামারিরা।
গত কয়েক মাসে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে গরু মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন খামারিরা। এমন বিপদের সময় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কাউকে পাশে পাননি বলেও অভিযোগ খামারিদের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার ৭টি উপজেলাতেই গবাদি পশুর লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এতে আতঙ্কিত পুরো জেলার ছোট-বড় খামারিরা।
সরেজমিনে সদর উপজেলা ও মেলান্দহ উপজেলার কয়েকটি এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ‘গরু চামড়ার নিচে ছোট ছোট গুটি। শরীরে হাত দিয়ে দেখা যায় তাপ্রমাত্রাও অনেক বেশি। ছোট গরু এ রোগে বেশি আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্ত গরুগুলো অনেক সময় খাবার মুখেই নিচ্ছে না।
সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের গাজীপুর এলাকার কৃষক জামাল উদ্দিন বললে, গত বছর এ রোগ হয়েছিল এবারও হয়েছে। এখন গরু বাছুর নিয়ে চিন্তায় রয়েছি। গরু মারা গেলে আমি নিঃস্ব হয়ে যাবো।’
ওই এলাকার আরও কয়েকজন কৃষক জানান, কৃষক বা গৃহস্থ সবার ঘরে কমবেশি গরু থাকে। একটি বা দুটি গরু পালন করে তারা পরিবারের আর্থিক সচ্ছলতা খোঁজেন। এ অবস্থার মধ্যে হঠাৎ করে গরুর লাম্পি স্কিন রোগ রোগ দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন অঞ্চলে প্রতিনিয়ত ছোট ছোট বাছুর গরু আক্রান্ত হচ্ছে।
পৌর শহরের পাথালিয়া পশ্চিমপাড়া মাসুদ রানা বলেন, আমার একটা গরু লাম্পি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এখন একটু ভালো হয়েছে। তবে খুব কষ্ট করে, অনেক যত্ন নিতে হচ্ছে। এখন একটু কমলেও পুরোপুরি সুস্থ হয়নি। পশু হাসপাতালের কেউ আসেনি। বাইরের চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা করানো হচ্ছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. সানোয়ার হোসেন বলেন, ‘কৃষক ও সাধারণ মানুষ ও খামারিদের সচেতন করতে কাজ করে যাচ্ছি। এ ভাইরাসে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। চিকিৎসকের পরামর্শে গরুর বাড়তি পরিচর্যা করলেই লাম্পি ভাইরাস সেরে যাবে।’