নিস্ব সংবাদদাতা : জামালপুরের মেলান্দহে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে মারামারিতে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে জোড় করে জমি দখলের অভিযোগ করেছেন অবসর প্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক মোঃ শহীদুল্লাহ নামের এক ব্যক্তি।
শনিবার ২৫ জানুয়ারি দুপুরে উপজেলার ঘোষের পাড়া ইউনিয়নের কায়েতপাড়া গ্রামে প্রতিপক্ষ আনোয়ারুল ইসলাম, আশরাফ হোসেন, জাকির হোসেন, আক্তারুজ্জামান ও তার বোন মাছুমা পারভীন, ভাতিজা আবিদসহ স্বদলবলে লাঠি সোঁটা নিয়ে জমিতে রোপিতকৃত ধানের চারা জমি থেকে উপরে ফেলে দিয়ে নষ্ট করার অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী শিক্ষক। এই ঘটনার খবর পেয়ে শিক্ষক পরিবারের সদস্যরা এগিয়ে এলে জমি জোড় করে দখলে নিয়ে মারপিট শুরু করেন। এ সময় উভয় পক্ষের কমপক্ষে আট জন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়েছে।
শিক্ষক মোঃ শহীদুল্লাহ জানান, ১৯৮৯ সালে প্রতিপক্ষদের কাছ থেকে সাফকবলা দলিল মূলে জমি ক্রয় করে চাষবাস করে আসছেন। হঠাৎ করে পয়ত্রিশ বছর পরে এসে সম্পত্তি পাবে বলে দাবি করেন। এ বিষয়ে আদালতে মামলা চলমান এবং প্রতিপক্ষকে জমিতে না যাওয়ার আদালতের নিষেধাজ্ঞা রহিয়াছে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জমিতে রোপিত ধানের চারা নষ্ট করে ফেলে এসময় আমার পরিবার ও আত্মীয়-স্বজন বাধা দিতে গেলে তারা আমাদেরকে মারধর করে। ঘটনায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ময়েজ উদ্দিনসহ অন্যান্যরা দখলকারীদেরকে প্রতিরোধ করতে গেলে প্রতিপক্ষের লোকজন বীর মুক্তিযোদ্ধা মযেজ উদ্দিনকে মাথায় আঘাত করে। একজন বয়স্ক নাগরিককে অপদস্ত করে নির্যাতন করার প্রতিবাদে তিনি এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
প্রতিপক্ষ আনোয়ারুল ইসলাম তুহিন জানান, তার চাচা শহীদুল্লাহ মাস্টার তারা ভাই-বোনেরা নাবালক থাকা অবস্থায় তাদের স্বাক্ষর নিয়ে জমি সাফ কবলা নেন। এটি আইনসম্মত নয় বলে জমি তাদের বলে দাবি করেন। সে কারনে তাদের জমিতে অন্য আবাদকৃত জমি থেকে ফসলের চারা ফেলে দিয়েছে। এ ঘটনায় মেলান্দহ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন স্কুল শিক্ষক শহীদুল্লাহ। এ বিষয়ে মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো: মাসুদ উজ্জামান জানান, শিক্ষক শহিদুল্লাহর একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।