নিজস্ব সংবাদদাতা : জামালপুরে পরিত্যাক্ত অবস্থায় পাওয়া একটি তাজা মর্টার শেল বিস্ফোরণের মাধ্যমে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে জামালপুর সদরের কোজগড় এলাকায় ঘাটাইল সেনানিবাসের ১৯ পদাতিক ডিভিশনের বোম্ব ডিস্পোজাল ইউনিট পরিত্যাক্ত অবস্থায় মর্টার শেলটি উদ্ধার করে সেটির সফল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিষ্ক্রিয় করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সোমবার বিকেলে জামালপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের কোজগড় এলাকায় জামালপুর-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশের একটি পরিত্যাক্ত স্থানে জাহাঙ্গীর নামে স্থানীয় এক ওয়েল্ডিং মিস্ত্রী প্রথমে ওই মর্টার শেলটি দেখতে পান। পরে তিনি স্থানীয় ইউপি সদস্য কামরুজ্জামান বাবুলকে বিষয়টি অবহিত করেন। তখন বাবুল ঘটনাস্থলে গিয়ে মর্টার শেলটি হাতে নিয়ে উল্টেপাল্টে দেখেন এবং তার কাছে বোমা জাতীয় কিছু হতে পারে এমন সন্দেহ হলে তিনি পুলিশকে খবর দেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ও র্যাবের সদস্যরা ঘটনাস্থলটি ঘিরে রাখে। গতকাল রাতেই প্রশাসন ও পুলিশের কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ও বিষয়টি প্রশাসনের মাধ্যমে ঘাটাইল সেনানিবাসে জানানো হয়েছে বলে জানা যায়। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ওই জায়গা থেকে পরিত্যাক্ত অবস্থায় মার্টার শেলটি উদ্ধার করে ঘাটাইল সেনানিবাসের ১৯ পদাতিক ডিভিশনের বোম্ব ডিস্পোজাল ইউনিট। পরে ঘটনাস্থল থেকে ৫০ মিটার নিরাপদ দূরত্বে নিয়ে শেলটির বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিষ্ক্রিয় করা হয়। এ সময় এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করে সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। ঘাটাইল সেনানিবাসের ১৯ পদাতিক ডিভিশনের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আশরাফুল কাদেরের নেতৃত্বে এই অভিযানটি পরিচালিত হয়। বোমাটি নিষ্ক্রিয় করতে কাজ করেন ক্যাপ্টেন মোহতাসিম।
জামালপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মেহনাজ ফেরদৌস জানান, নিষ্ক্রিয় করা মর্টার শেলটি ট্যাঙ্ক ধ্বংসকারী যা ব্রিটিশের তৈরি, এটি ১৯৭১ সালে ব্যবহৃত হতো। তবে এই মর্টার শেলটি কিভাবে এখানে এলো তা তদন্ত করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক টিম। এ সময় জামালপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোহরাব হোসাইন, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মহব্বত কবীরসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।