জামালপুরে পার্টনার কংগ্রেসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

oplus_1024

নিজস্ব সংবাদদাতা : ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন এন্টারপ্রেনেরশিপ অ্যাড রেজিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ (পার্টনার) কর্মসূচির আওতায় পার্টনার কংগ্রেসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার ২৭ মে সকালে সদর উপজেলা পরিষদ হলরুমে সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জামালপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ী উপ-পরিচালক কৃষিবিদ জাকিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক ড. সালমা লাইজু।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক ড. সালমা লাইজু বলেন, জমিতে বিষ প্রয়োগ না করে করিম কি ভাবে লাভবান হয়েছে সেই বিষয়গুলো সমাজে তুলে ধরেন। জৈব সার না দেওয়ার কারণে মাটির কি অবস্থা তা তুলে ধরেন। বিষ প্রয়োগের মাধ্যমে কার কতগুলি মুরগী বা ছাগল মারা গেলো তা তুলে ধরেন যেন সবাই ভয় পায়। এই বিষের জন্য গ্রামের মানুষের শরীরে ক্যান্সার বৃদ্ধি পেয়েছে তা তুলে ধরেন। এগুলা হচ্ছে আমাদের পজিটিভ দিক। এগুলো সমাজে তুলে ধরতে হবে। তা হলে গ্রামের সাধারণ মানুষগুলো উপকৃত হবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে শতকরা দশজন কিডনি রোগে আক্রান্ত। অতিরিক্ত রাসায়নিক সার ও কিটনাশক এইগুলো কিভাবে আসছে, সেই বিষয়ে কাজ করতে হবে। একশ্রেণির মানুষ ব্যবসার স্বার্থে সরকারকে চাপ দিয়ে এসব রাসায়নিক সার দেশে ঢুকাচ্ছে। এই গুলো আমাদের দেশে কোন দরকার নেই। সবার বোঝা উচিৎ বিদেশে বছরে একবার চাষ করা হচ্ছে। আর আমাদের দেশে বছরে তিনবার চাষ করা হচ্ছে। এই তিনবার চাষের জন্যে আমরা জমিতে তিনবার বিষ দিচ্ছি। এতে মাটি বিষাক্ত করা হচ্ছে। আমরা যে চাল খাই, সেই চালে রাসায়নিক আছে। আপনার শরীরে ক্যান্সার হওয়ার জন্য আর কিছু খাওয়ার দরকার নেই। ভাত খাওয়াই যথেষ্ট।
অতিরিক্ত পরিচালক ড. সালমা লাইজু বলেন, এইখানে আপনারা যারা এসেছেন আপনাদের স্কুল শেষ হয়ে গিয়েছে। তার পরের কার্যক্রমের দ্বায়িত্বটা আপনাদের। এখন আপনারা যদি মনে করেন এখানে আর গেলে কোন অনারিয়াম দিবে না বা ফেসিলিটি পাওয়া যাবে না তা হলে আমার স্কুল করার দরকার কি? তা হলে গুডবাই বা শেষ। আপনি যদি এটাকে নৈতিক দ্বায়িত্ব মনে করেন এবং মনে করেন আমার জন্য সরকার এই কষ্টটুকু করেছিল, এই জ্ঞানকে আমি সারাজীবন পুঁজি করে ব্যবহার করবো তা হলে একচুয়েলি আপনি লাভবান হবেন। এছাড়া এই কংগ্রেসে এসে কোন লাভ নেই। স্কুল করে কোন লাভ নেই। আশা করি আপনারা আমার কথা বুঝতে পেরেছেন। তিনি বলেন, আপনারা নিজ স্বার্থে আপনাদের এই স্কুল গুলো সক্রিয় রাখেন সমিতি গঠন করেন। আপনারা সাপ্তাহিক, পনেরদিন বা মাসিক প্রোগ্রাম করে সজিব রাখেন ওই এলাকার কৃষকদের জন্য। আপনারা একটা আদর্শ বিষয় উপস্থাপন করেন তাতে সাধারণ কৃষক উপকৃত হবে ইনশাআল্লাহ।
জামালপুর সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মো. সারোয়ার পারভেজের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জামালপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ীর অতিরিক্ত উপ-পরিচালক জেসমিন জাহান। আলোচনা সভা শেষে কৃষকের মাঝে বিভিন্ন গাছের চারা বিতরণ করা হয়।