দেশের বিভিন্ন স্থানের ন্যায় জামালপুর জেলাতেও তাপদাহ চলছে। গত ২৪ ঘণ্টায় জামালপুর জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্রচণ্ড গরমে জেলার সর্বত্র জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। বৃদ্ধ ও শিশুরা প্রচণ্ড গরম সহ্য না করতে পেরে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
বৃহস্পতিবার জামালপুর শহরের বিভিন্ন এলাকায় ও সড়কে ঘুরে দেখা গেছে, গরমের কারণে মানুষের যাতায়াত কমে গেছে। ভ্যাপসা গরমে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষেরা পড়েছেন বিপাকে। পরিবারের কথা চিন্তা করে এই গরমের মধ্যেই কাজে যেতে বাসাবাড়ির বাইরে বের হতে হচ্ছে তাদেরকে। আবার যারা দিনমজুরের কাজ করেন তাদের কষ্টের সীমা নেই।
রিকশা, অটোরিকশাচালকদের ঘর থেকে বের হয়ে শহরে জনশূন্য দেখে মাথায় হাত দিয়ে গাছের নিচে ছায়ায় বসে থাকতেও দেখা গেছে। প্রচণ্ড গরমের মধ্যে অনেকেই রাস্তার ধারে ঠাণ্ডা শরবত ও আখের রস পান করতে দেখা গেছে। ডাবের দাম সাধ্যের মধ্যে না থাকলেও অনেকেই ডাবের পানি পান করে তৃষ্ণা মেটাচ্ছেন।
সিংহজানী হাইস্কুল রোডের অফসেট প্রেসের কর্মচারী জুয়েল রানা বলেন, প্রচণ্ড গরমে কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে। রাতে বাসায় ঠিকমতো ঘুমানো যাচ্ছে না। মাঝে মধ্যে অসুস্থবোধ করছি।
রিকশাচালক আবুল হোসেন বলেন, সকালে রিকশা নিয়ে বের হয়েছি। এখনও তেমন কামাই-রোজগার করতে পারিনি। গরমের কারণে কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছে না।
জামালপুর আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মনজুরুল কাদির জানান, গত কয়েক দিন ধরেই দিনের তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় জামালপুর জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।