জামালপুরে বাস-অটোরিক্সার মুখোমুখি সংঘর্ষে অটোচালক নিহতের ঘটনায় বাসে আগুন, প্রতিবাদে বাস মালিকদের সড়ক অবরোধ

নিজস্ব সংবাদদাতা : জামালপুরে বাস ও ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সার মুখোমুখি সংঘর্ষে অটোচালক আবুল কাশেমের (৩৫) মৃত্যু হয়েছে। এই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন তিন যাত্রী। দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা ঘাতক বাসে অগ্নিসংযোগ করলে প্রতিবাদে বাস মালিক, চালক ও শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে।
রবিবার সকালে জামালপুর সদর উপজেলার শরিফপুর ইউনিয়নের জয়রামপুর এলাকায় জামালপুর-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ঢাকা থেকে জামালপুরগামী রাজিব পরিবহণের একটি বাসের সাথে নান্দিনাগামী একটি যাত্রীবাহী অটোরিক্সার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। স্থানীয়রা অটোরিক্সার চালক ও যাত্রীদের গুরুত্বর আহত অবস্থায় জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পৌর এলাকার হরিপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে অটোচালক আবুল কাসেমকে মৃত ঘোষণা করেন। দুর্ঘটনায় গুরুত্বর আহত তিন যাত্রীকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে আহতদের পরিচয় জানা যায়নি। এই ঘটনায় স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ হয়ে ঘাতক বাসটিকে আটক ও অগ্নিসংযোগ করে। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এদিকে বাসে অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে দুপুরে পৌর শহরের পুরাতন ফেরিঘাট এলাকায় সড়কে বাস দাড় করিয়ে সড়ক অবরোধ করে বাস মালিক, চালক ও শ্রমিকরা। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে প্রশাসনের আশ^াসে এক ঘন্টা পর বাস মালিক, চালক ও শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নেয়।
এ ব্যাপারে জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শুভ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের ঘটনায় দু:খ প্রকাশ করে বলেন, দুর্ঘটনা ঘটলে আইনগত পদক্ষেপ নিতে হবে। কিন্তু আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মারা বাসটিতে অগ্নিসংযোগ করেছে। যে দুর্বৃত্তরা বাসে আগুন দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে। বাসে অগ্নিসংযোগকারীদের আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে আইনের আওতায় আনতে হবে। প্রশাসনের আশ^াসে অবরোধ তুলে নিলেও দুর্বৃত্তদের গ্রেফতার করা না হলে জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির পক্ষ থেকে অবরোধ কর্মসুচি দেয়া হবে। মহাসড়কে অটোরিক্সার কারণে বাস চলাচলে বিঘœ ঘটে এবং দুর্ঘটনা ঘটে, তাই অটোরিক্সা নিয়ন্ত্রণের দাবী জানান তিনি।
জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ফয়সল মো: আতিক জানান, বাসের সাথে অটোরিক্সার সংঘর্ষে একজন নিহত ও তিনজন আহত হয়েছে, আহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা বাসে অগ্নিসংযোগ করে এবং এর প্রতিবাদে বাস মালিক, চালক ও শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে। দুর্ঘটনায় মৃত্যু ও বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আলাদা আলাদা মামলা নেয়া হবে। তবে এ ব্যাপারে কেউ কোন অভিযোগ করেনি। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্ত ও পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।