নিজস্ব সংবাদদাতা : “বৈশ্বিক পুষ্টিতে দুধ অপরিহার্য ” এই প্রতিপাদ্যের জামালপুরে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উদযাপন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্যালী ও আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে।
গত শনিবার ১ জুন সকাল ১০ টার দিকে শহরের ফৌজদারি মোড় থেকে এক বর্ণাঢ্য র্যালী বের হয়।বর্ণাঢ্য র্যালীটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে গিয়ে শেষ হয়। র্যালী শেষে এক আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. ছানোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে ও ইসলামপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রাবেয়া বছরিনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক সরকার আব্দুল্লাহ আল মামুন। প্রধান অতিথি সরকার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমাদের সমাজে একটা প্রভাত আছে দুধে ভাতে বাঙালি। এই প্রচলন কিন্তু গ্রাম অঞ্চলে এখনো আছে। আমরা যদি ধর্মীয় ভাবে চিন্তা করি তা হলে কিন্তু হযরত মোহাম্মদ (সঃ) দুধ পছন্দ করতেন। দুধ হচ্ছে একটি আচার্য জিনিস। আমরা জন্মের পর থেকে মায়ের বুকের দুধ পান করে থাকি। দুধের মধ্যে এমন কিছু উপাদান আছে, যা আমাদের সুস্থ ভাবে বাঁচিয়ে রাখতে সাহায্য করে। তিনি আরও বলেন, কৃষক আগে যে জায়গায় ছিলো, এখনো কৃষক সেই জায়গাতেই আছে। কারণ কৃষকের শ্রী বৃদ্ধি হয়নি। আগে ধানক্ষেতে বা বিলে মাছ পাওয়া যেতো। এখন আর পাওয়া যায় না। কি ভাবে এর উৎপাদন বাড়ানো যায়, সেই দিকে সকলকে খেয়াল রাখার আহবান জানান। আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জামালপুর সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. হামিদা খাতুন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুনমুন জাহান লিজা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মাসুদ আনোয়ার, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ আতিকুর রহমান ছানা, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সুজায়েত আলী, জামালপুর জেলা প্রেসক্লাবে সভাপতি এডভোকেট ইউসুফ আলী, বকশীগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুল মান্নান, সফল খামারি মো. আশরাফুল ইসলাম সিদ্দিকী মামীম, মিজানুর রহমান দুলাল, আলহাজ্ব শামসুল হক প্রমুখ। বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র- ছাত্রীরা রচনা, চিত্রাঙ্কন ও কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে ১৫ জন চুড়ান্ত বিজয়ীদের চেকের মাধ্যমে পুরস্কার প্রদান করা হয়। র্যালী ও আলোচনা সভায় জেলা ও সদর উপজেলা এবং বিভিন্ন উপজেলার প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।