স্টাফ রিপোর্টার : জামালপুরে স্বর্নালঙ্কার চুরির মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে নিরীহ বাবু মিয়ার পরিবার।
সোমবার নিজ বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বাবু মিয়ার বর্তমান স্ত্রী শিউলি আক্তার,মা আমেনা বেগম,সহোদর ভাই জমির শেখ সহ আরো অনেকে। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, চন্দ্রা ঘুনটি এলাকার মৃত তজি শেখের ছেলে বাবু মিয়া জামালপুর পৌরসভার সামনে দীর্ঘদিন ধরে মনিহারি দোকানদারি করে আসছে। বিগত ২ জুলাই বিজ্ঞ সিনিয়ার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মামুন হাসান খানের আমলা পারস্থ লিচুতলা এলাকায় ভাড়া বাড়িতে ওয়ারডব ভেঙে দুর্বৃত্তরা নগদ টাকা সহ ১৩.৬৮ ভরি যার আনুমানিক মূল্য ১৫ লাখ ২২ হাজার ১০০ টাকা চুরি করে। পরে বিভিন্ন তথ্য ও প্রযুক্তির মাধ্যমে সদর থানা পুলিশ এই চুরির সাথে জড়িত সন্দেহে সদরের বিভিন্ন এলাকা থেকে মোঃ ফকির, মোঃ সবুজ মিয়া, মোঃ সুমন, মোঃ সোলাইমান ও বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মামুন হাসান খানের বাসার গৃহ কর্মী মোছাঃ সাজেদা বেগমকে আটক করে ও তাদের কাছ থেকে ৮ ভরি ৫ আনা স্বর্ণ উদ্ধার করে। বক্তব্যে তারা আরো উল্লেখ করে যে, এই চুরির মামলার ৫ নাম্বার আসামি বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মামুন হাসান খান এর বাসার গৃহকর্মী মোছাঃ সাজেদা বেগম সন্দেহ ভাজন আটক কৃত বাবু মিয়ার ডিভোর্সকৃত সাবেক স্ত্রী। বাবু মিয়া মোছাঃ সাজেদা বেগমকে ডিভোর্স দেওয়ার পর থেকেই বাবু মিয়াকে নানান ভাবে ডিভোর্স কৃত স্ত্রী সাজেদা বেগম হয়রানি ও মামলা মোকদ্দমা দিয়ে নাজেহাল করছে বলে উল্লেখ করা হয়। ইতিপূর্বে ও বাবু মিয়াকে ফাঁসাতে ১০ টির মামলা করে এই এই সাজেদা বেগম। যা পৌর মেয়র সহ বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক মিথ্যা প্রমাণিত হয় বাবু মিয়াকে সবকটি মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয়। মূলত বাবু মিয়ার প্রতি প্রতিহিংসা ও হয়নি করতেই চুরির মামলার সাথে বাবু মিয়াকে জড়িত করেছে তার ডিভোর্সকৃত স্ত্রী সাজেদা বেগম। বাবুর পরিবার আরো উল্লেখ করেছে তারা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। চুরির মালামাল উদ্ধার ও এই চুরির সঙ্গে যে বা যাহারা জড়িত প্রকৃত চোরদের শাস্তি হোক তবে হিংসা কিংবা প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে যাতে বাবু মিয়ার মত নিরীহ দোকানদারীর যাতে শাস্তি না হয় সে বিষয়ে বিজ্ঞ আদালত, আইন প্রয়োগ করি সংস্থা সহ প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছে নিরীহ বাবু মিয়ার পরিবার।