জামালপুরে শিশু সুরক্ষা ও জিরো ৫ প্লাস বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠি

নিজস্ব সংবাদদাতা : শিশুদের সর্বোত্তম সুরক্ষায় এবং জিরো ক্ষুধা, জিরো শিশুশ্রম, জিরো বাল্যবিয়ে, জিরো শিক্ষা থেকে ঝরে পড়া, জিরো অপুষ্টি- এ পাঁচটি নেতিবাচক অবস্থার পাশাপাশি পলিথিন ও প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসতে জিরো ৫ প্লাস ধারণা সম্পর্কে ধর্মীয় নেতাদের সাথে দিনব্যপী কর্মশালা জামালপুরে অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল ১২ মার্চ বুধবার সকালে ইসলামিক ফাউন্ডেশন, জামালপুর জেলা শাখার উদ্যোগে এবং জামালপুর এরিয়া প্রোগ্রাম (এপি), ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ ও উন্নয়ন সংঘ (ইউএস) এর সহযোগিতায় জামালপুর জেলা মডেল মসজিদ সভাকক্ষে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ। শিশু সুরক্ষা ও জিরো ৫ প্লাস সম্পর্কে সভায় ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন ওয়ার্ল্ড ভিশন জামালপুর এপির এরিয়া ম্যানেজার বিমল জেমস কস্তা। কর্মশালায় অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ উন্নয়ন পরিচালক জাহাঙ্গীর সেলিম, পরিচালক কর্মসূচি মুর্শেদ ইকবাল ও জামালপুর এরিয়া প্রোগ্রাম ম্যানেজার মিনারা পারভীন। জিরো ৫ প্লাস ও শিশু সুরক্ষার ধারণা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সরকারি, বেসরকারি, কমিউনিটি ও স্থানীয় বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের পাশাপাশি ধর্মীয় নেতাদের বড় ভূমিকা রাখার সুযোগ আছে বলে বক্তারা অভিমত প্রকাশ করেন। উপস্থিত প্রতিনিধিরা মুক্ত আলোচনায় বসে পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। এরমধ্যে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে জন্মনিবন্ধন যথা নিয়মে ও যথাসময়ে করা, অভিভাবকদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা, মসজিদ ও বিদ্যালয়ভিত্তিক আলোচনা করা, শিশুশ্রম নিরোধে প্রচলিত আইন কার্যকর করা, দোকান ও কলকারখানার মালিক বা ব্যবস্থাপনার সাথে যুক্ত তাদেরকে শিশুশ্রমিক নিয়োগে নিরুৎসাহিত করা, পারিবারিক দারিদ্র বিমোচনে পদক্ষেপ গ্রহণ করা এবং পরিবারভিত্তিক কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করা। শিশুরা যাতে বিদ্যালয় থেকে ঝরে না পড়ে এবং বিদ্যালয়ে যথাসময়ে ভর্তি ও নিয়মিত যায় এ ব্যপারে ধর্মীয় নেতারা গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করবেন। এছাড়াও পলিথিন, প্লাস্টিক বর্জন ও ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করতে, পাটজাত পণ্যের ব্যপকভিত্তিক ব্যবহার নিশ্চিত করা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শক্তিশালিকরণ, পুনঃউৎপাদন প্রক্রিয়া চালু করা, কার্বন নিঃসরণে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা, অপুষ্টি দূরীকরণের ক্ষেত্রে বাড়ি বাড়ি পুষ্টি বাগান তৈরি করা, পুষ্টিকর খাদ্য খাবার, অপুষ্টির কারণ সম্পর্কে সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করা, মাল্টিসেক্টরাল উদ্যোগ গ্রহণ করা। ক্ষুধা নিরসনে দারিদ্র বিমোচন কার্যক্রম জোরদার করা, উৎপাদন কার্যক্রম জোরদার করা ইত্যাদি উদ্যোগ গ্রহণ করা হলে জিরো ৫ প্লাস ধারণা বাস্তবায়নে সফলতা আসবে বলে উপস্থিত সবাই অভিমত ব্যক্ত করেন। কর্মশালায় ৯০ জন ধর্মীয় নেত অংশ নেন। এছাড়া উন্নয়ন সংঘ ও ওয়ার্ল্ড ভিশনের প্রতিনিধিরাও কর্মশালায় অংশ নেন। সভায় চলমান নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।