॥ মো: নোমান হোসাইন ॥ আমার শিক্ষা জীবন শুরু হয় আমার গ্রামের প্রাথমকি বিদ্যালয়ে। বিদ্যালয়টি আমার বাড়ি থেকে মাত্র পায়ে হেঁটে পাঁচ মিনিটের পথ। কিন্তু আমি বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতাম আমার নানা বাড়ি থেকে। কারণ ছিলো আমার ছোট মামা। আমার ছোট মামা আমাকে যতটা বুঝতেন বা যতœ সহকারে বুঝাতেন, তা আমি আর অন্য কারো কাছে পেতাম না। আমার নানা বাড়ি অবশ্য পাশের গ্রামে অবস্থতি। আমার গ্রাম থেকে পায়ে হেঁটে প্রায় ত্রিশ মিনিটের পথ। আমার সহপাঠী সহিংভাগ এর বাসা ছিলো দুই গ্রাম কে সংযোগকারী কাঁচা রাস্তাটির দুই ধারে। আমরা এত পথ পাড়ি দিয়ে ক্লাস শেষে বাড়ি ফিরতে কখনো ক্লান্তিবোধ করতাম না। আহারে! কি সুন্দর ছিলো সেই হারানো দিনগুলো।
আমার বেড়ে উঠার সাথে ছবিতে দেয়া কাঁচা রাস্তাটরি স্মৃতি ওতপ্রোতভাবে জড়তি। আমাদরে স্কুল জীবনের গ্রীষ্ম, শীত গুলো খুব সাচ্ছন্দ্যে কাটলেও, বিপত্তি বাঁধেতা র্বষা’র দিনগুলো। বৃষ্টি হলেই কাঁচা রাস্তার র্কদমাক্ত মাটি চলার পথের প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়াতো। কয়েক কিলোমিটার এই রাস্তাটি দুই গ্রামের অসংখ্য মানুষের যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম। এই রাস্তার আশেপাশেই কয়েকটি মসজিদ, মক্তব, মাদ্রাসা, একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় অবস্থিত। তাছাড়া গ্রামের মানুষজনের ইউনিয়ন পরিষদে বা নিকটর্বতী বাজারে, বা উপজেলায় যাবার একমাত্র মাধ্যমও এই রাস্তাটি। গ্রামের শতশত শির্ক্ষাথীদের পার্শ্ববর্তী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয়ে যাবার একমাত্র মাধ্যমও এই রাস্তা।
আজ উনশি বছর হতে চললো আমি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গন্ডি পেরিয়েছি। দুই গ্রামের মানুষের অনেক উথান-পতন ঘটেছে এই র্দীঘ সময়ের পরিক্রমায়। কত নতুন মুখের আর্বতন, কত প্রাক্তন মুখের বিবর্তন। সবকিছুর অন্তরালে নজিরে স্বীকয়তা একমাত্র ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে দুই গ্রামের মানুষের যোগাযোগের একমাত্র ভরসা এই চলার পথটি। এই রাস্তার ভাগ্যোন্নয়ন কি আর হবে না? আজ থেকে বত্রিশ বছর র্পূবে রাস্তাটি যেমন ছিলো আজও ঠিক তেমনই বিদ্যমান। গ্রামের সহজ সরল মানুষগুলোর দুঃখ দুর্দশার কী লাগব হবে না কখনো? স্বল্প আয়ের এই মানুষগুলোর করুণ চাহনি কখনো কি পাবে না নির্মল আনন্দের র্স্পশ?