ঝিনাইগাতীতে আকস্মিক পাহাড়ি ঢলে কোটি কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি

ঝিনাইগাতী সংবাদদাতা : শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলায় গত শুক্রবার ভোরে ভয়াবহ রাক্ষসী পাহাড়ি ঢলে হাজার হাজার মানুষ ঘুম থেকে উঠেই দেখে ঘরে পানি আর পানি। ফলে পানিতে বন্দি হয়ে পড়ে হাজার হাজার পরিবার। আকস্মিক ভাবে বন্যার পানিতে মহারশি নদী প্লাবিত হয়ে জনর্দূভোগ সৃষ্ঠি হয় । একদিনের প্রচুর বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা প্রবল স্্েরাতের পানিতে মহারশি নদী ভরাট হয়ে বন্যায় পরিণত হয়ে যায় নদীর তীরবর্তী এলাকাসহ উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন। ঝিনাইগাতী সদর বাজারে গরুহাটি, দিখিরপাড়, খৈলকুড়া, রামেরকুড়া, ও ভূমি অফিসের পিছন থেকে বন্যার পানি প্রবেশ করে গোটা বাজার প্লাবিত হয়ে পড়ে কোটি কোটি টাকার মালামাল বিনষ্ট হয়। বাধ উপচে ও ভেঙে মসজিদ রোড, ধানহাটি, চালহাটি মধ্যবাজারের ব্যাবসায়ীদের দোকানে বন্যার পানি প্রবেশ করে অনেক মালামালের ক্ষতি সাধিত হয়েছে। অনেক বাড়ি ঘরে পানি উঠার ফলে এক বেলা না খেয়ে জনদূর্ভোগ পোহাতে হয় অনেক পরিবারকে এবং পানিতে বন্ধী অনেক পরিবারকে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল উদ্বার করেছে। বন্যার পানিতে উঠতি আমন ফসলের আধাপাকা ধান সহ কৃষকের সবজি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। জোয়ার ভাটার মতো সকালে ভয়াবহ বন্যা দুপুরের দিকে সদর বাজার থেকে পানি নেমে ভাটি এলাকায় যাওয়া শুরু করেছে। ফলে নিন্মঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে । উপজেলার মহারশি নদি ব্রিজের দক্ষিণে ও উত্তরে বাধ ভেঙে অনেক বাড়িঘর, মেন রাস্তা সহ গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পানি প্রবেশ করে কোটি কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে । উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ঝিনাইগাতী,গৌরিপুর,ধানশাইল, কাংশা, নলকুড়া, মালঝিকান্ধা ও হাতিবান্ধ ইউনিয়নে পানি প্রবেশ করেছে । ধানশাইল ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম জানান আমার পকুরের ১৫ লাখ টাকার মাছ সহ ইউনিয়নবাসীর ৭/৮টি ঘর পানির স্্েরাতে ভেসে গেছে । উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল আলম রাসেল বন্যায় কবলিত এলাকার খোঁজ খবর রেখে আজ শনিবার শেরপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত ৭৮০ প্যাকেট শুকনো খাবার ত্রাণ হিসাবে বন্যাতদের মাঝে বিতরর্ণ করে বলেন চাহিদা পাঠানো হয়েছে আরো ত্রাণ পাওয়া যাবে । অপর দিকে উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে নেতাকর্মী সহ জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য মাহমুদুল হক রুবেল কয়েকটি গ্রামে ত্রাণ বিতরণ করে জনগণকে বিএনপির পতাকার নিচে ঐক্যবদ্ধ হয়ে থাকার আহ্বান রাখেন।