ঝিনাইগাতীতে আকস্মিক বন্যার উন্নতি হলেও নিন্মাঞ্চলে পানিতে পড়ে ২ জনের মৃত্যু

ঝিনাইগাতী সংবাদদাতা : শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলায় গত শুক্রবার আকস্মিক বন্যার উন্নতি হলেও নিন্মঅঞ্চলে পানিতে পড়ে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। সকাল থেকে আকাশে রোদ দেখা দেওয়ার ফলে উজান থেকে পানি নেমে ভাটি এলাকায় মহারশি ও শমেসস্বরী নদীর পানিতে নিন্মঅঞ্চল প্লাবিত হয়েছে । গত মঙ্গলবার একদিনে প্রচুর বৃষ্টিপাত ও ভারতের মেঘালয় রাজ্য থেকে বয়ে আসা পানিতে নিমিষেই নদী ভরাট হয়ে বন্যায় পরিণত হয়ে যায় নদীর তীরবর্তী এলাকা । পাহাড়ি ঢলের পানিতে ভাটি এলাকা সহ নিন্মঅঞ্চলের মানুষেরা পানিতে বন্ধি হয়ে পড়ে । বন্যার পানির স্্েরাতে উপজেলার দিঘিরপাড় পালপাড়া ও আব্দুল্লাহর বাড়ির শেষ সিমানায় বাঁধ ভেঙে যাওয়ার ফলে পানি প্রবেশ করে জনদূর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার বাঘেরভিটা, কান্দলী, কালিনগর, সারিকালিনগর, বগাডবি, পাগলারমুখ, বনগাঁও, চতল, সূরিহারা সহ কয়েকটি এলাকায় পানি প্রবেশ করে । আজ জুম্মা নামাজের পর বেলা আড়াইটার সময় ৫ বন্ধু মিলে ধানশাইল ইউনিয়নের দক্ষিণ কান্দলী গ্রামে নৌকা যোগে ভ্রমনের উদ্দেশ্যে বন্যা দেখতে যায় । মাঝপথে গিয়ে থৈ-থৈ পানিতে নৌকা ডুবে যায় । ওই গ্রামের সোহরাব আলীর ছেলে রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যয়নরত ডা: মিল্টন মিয়া (২৫) ও সাদা মিয়ার ছেলে আমানুল্লা (১৭) পানিতে পড়ে মারা যায় । বাকি তিনজন বন্ধুকে উদ্বার করে আ: হালিম সহ এলকাবাসীরা শেরপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্যে নেয়। তাদের এই মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।