ঝিনাইগাতীতে বন্যার ক্ষত চিহ্ন ভাসছে : ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত

ঝিনাইগাতী সংবাদদাতা : শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে গত শুক্রবার ভোরে ভয়াবহ রাক্ষসী পাহাড়ি ঢলের হাজার হাজার মানুষ পানিতে বন্দী হয়ে পড়ে। বন্যার উন্নতি হলেও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের ক্ষত চিহ্ন পরিবারের চোখে ভাসছে। উপজেলা প্রশাসন সহ ত্রাণ কার্যকম অব্যাহত রয়েছে। উপজেলায় এবার বন্যায় ঘরবাড়ি উঠতি আমন ফসলের ক্ষয়ক্ষতির চিহ্ন ভেসে উাার ফলে পরিবারের মাঝে আহাজারি শুরু হচ্ছে। বন্যায় বিগত বছরের সকল রেকর্ড ভেঙে এবারের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ইতিহাসের পাতায় স্থান পেয়েছে। আজ আকাশে রোদ থাকার ফলে বন্যার উন্নতি হয়েছে ঠিকই কিন্তু উপজেলাবাসী ত্রান চায়না জানমাল রক্ষার্থে ও শহরকে রক্ষার জন্যে চিরস্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন। আকস্মিক ভাবে বন্যার পানিতে প্রতিবছর মহারশি নদী প্লাবিত হয়ে জনর্দূভোগ সৃষ্ঠি হয়। প্রচুর বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা প্রবল স্্েরাতের পানিতে মহারশি নদী ভরাট হয়ে ভয়াবহ বন্যায় পরিণত হয়ে যায়। যার ফলে নদীর তীরবর্তী এলাকাসহ উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়ে পড়ে। নদীর বাঁধ উপচে ও ভেঙে বাজারের ব্যাবসায়ীদের দোকানে বন্যার পানি প্রবেশ করে অনেক মালামালের ক্ষতি সাধিত হয়েছে । উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে পানি প্রবেশ করার ফলে বাড়িঘর তছনচ করে কৃষকের সপ্ন বিলীন হয়ে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল আলম রাসেল বন্যায় কবলিত এলাকায় জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে এ পর্যন্ত প্রাপ্ত ২১০০ প্যাকেট শুকনো খাবার ত্রাণ হিসাবে বন্যার্তদের মাঝে বিতরণ করেছেন। জিআর ৪০টন চাল বরাদ্ধ পেয়ে ৭টি ইউপি চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে বন্টন করে বিতরণ করা হয়েছে জানিয়ে বলেন চাহিদা আরো পাঠানো হয়েছে আশা করছি বরাদ্ধ আরো পাওয়া যাবে। অপর দিকে জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি মাহমুদুল হক রবেল তারেক রহমানের নির্দেশে ইউনিয়ন ভিত্তিক ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। প্রতিদিন দেশের বাইরে থেকে ত্রান নিয়ে আসা সেচ্ছাসেবী সংগঠন স্থানীয়রা বন্যা কবলিত এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করছেন।