ঝিনাইগাতীতে বিএনপি নেতা বহিস্কার প্রত্যাহারের কর্মসূচিকে ঘিরে পক্ষে বিপক্ষে পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ

ঝিনাইগাতী সংবাদদাতা : শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলায় গত শনিবার বিকালে বহিস্কিৃত বিএনপি নেতা আমিনুল ইসলাম বাদশার প্রত্যাহার কর্মসূচিকে ঘিরে পক্ষে বিপক্ষে পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানা গেছে উপজেলা নির্বাচনে দলের নির্দেশ অমান্য করে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করার ফলে কেন্দ্রীয় বিএনপির সিদ্বান্ত মোতাবেক আমিনুল ইসলাম বাদশাকে দল থেকে বহিস্কার করে প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রদান করা হয়। তখন চুপ থাকলেও ৫ই আগস্টের পর দলে ফেরার জন্যে নড়েচড়ে বসে আমিনুল ইসলাম বাদশা। তার নেতৃত্বে দলের কোন কর্মসূচি পালন করার চেষ্টা করলে স্থানীয় বিএনপি নেতারা বিএনপি অফিসে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে জানান দেয় সে দলের কেউ না, কোন প্রোগ্রাম করতে হলে তার বহিস্কার আদেশ প্রত্যাহার করতে হবে। দলের নির্দেশ অমান্য করে বিএনপি অঙ্গ সংগঠনের নামে প্রত্যাহারের দাবিতে মাইকে প্রচার করে শনিবার ধানহাটি মোড়ে সমাবেশের ডাক দেয়। মাইকে এই প্রচার শুনে টনক নড়ে স্থানীয় বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীদের। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যুবদল, সেচ্ছা সেবক দল সহ অন্যান্যরা পোস্ট দেয় বিএনপির কোন প্রোগ্রাম নেই কেউ অংশ গ্রহণ করলে দলীয় ভাবে সিদ্বান্ত গ্রহণ করা হবে। এ দিকে গতকাল শনিবার সময় ঘনিয়ে আসলে বাদশার সমর্থকরা খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে সমবেত হয়ে বহিস্কার প্রত্যাহারের দাবিতে এক বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। পরে ধানহাটিতে কাংশা ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ ও আলোচনা সভায় কোন উল্লেখ যোগ্য বিএনপি নেতাকে দেখা যায়নি। পরক্ষণে ঝিনাইগাতী বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুঘ¥ আহবায়ক আব্দুল মান্নানের নেতৃত্বে বিএনপি অফিস থেকে যে নেতার পদ নাই, দলে তার প্রয়োজন নাই স্লোগান নিয়ে ঝিনাইগাতী রাজপথ কম্পিত করে তুলেন। এতে অংশ গ্রহণ করেন বিএনপি অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা। এ ব্যাপারে বিএনপি নেতা, আব্দুল মান্নান, নূর নবী, রেফাজ উদ্দিন, এখলাছ সহ অঙ্গ সংগঠনের নেতারা জানান দলের সিদ্বান্ত অমান্য করে বহিস্কার হয়েছে এখন প্রত্যাহারের নাম করে দলের মধ্যে গ্রুপিং সৃষ্টি করছেন। দলীয় ভাবে প্রত্যাহার হলে আমরা স্বাগতম জানাবো। তার উপজেলা নির্বাচন পরিচালনা করার জন্যে যে ওয়ার্ড, ইউনিয়ন পর্যায়ে আওয়ামীলীগ সহ কমিটি গঠন করা হয়েছিল তাদেরকে নিয়ে এসে কর্মসূচি পালন করেছেন। বিএনপির কোন নেতা উপস্থিত ছিলেন না। অপর দিকে একই সময়ে উপজেলা ছাত্র দলের আয়োজনে জুলাই/আগস্ট শহীদদের স্মরণে ও আহতদের সুস্থতা কামনায় বিএনপির অফিসে এক দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুপুরের পর থেকে রাজপথে চৌকস সেনাবাহিনী ও পুলিশের একটি টিম টহল এবং নিরাপত্তা কাজে নিয়োজিত ছিল।