ঝিনাইগাতীতে শীত লাউ বাজারজাত করছে কৃষকরা

ঝিনাইগাতী সংবাদদাতা : শেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার সদর বাজারে শীত লাউ বাজারজাত করছে কৃষকরা। উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে শীত কালীন সবজি লাউ চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছে কৃষকরা। উপজেলায় এখন বারোমাস এই সবজি পাওয়া গেলেও শীতের সময় এর চাহিদাটা ক্রেতাদের নিকট বেশি আকর্ষণ থাকে। বনগাঁও, সন্ধ্যাকুড়া, চতল. ফকরাবাদ, হলদিগ্রাম, আয়নাপুর, ধানশাইল, তেঁতুলতলা ও তিনআনী গ্রামে ব্যাপক লাউ চাষ হয়ে থাকে। লাউ চাষে কৃষকরা ন্যায্য মূল্য পেয়ে বেজায় খুশি। শীত পড়ার আগ মূহুর্তে যে,সমস্ত কৃষকরা লাউ বাজার জাত করেছে তারা অনেক লাভবান হচ্ছেন। বর্তমান বাজারে প্রতি পিচ লাউ বিক্রী হচ্ছে ৫০ থেকে ৪০টাকা পর্যন্ত। একই লাউ প্রথম পর্যায়ে বাজারজাত করার সময় ৫০ থেকে ৬০টাকায় ক্রয় করতে হতো একজন ক্রেতার। দেশী এই লাউয়ের স্বাদ ভালো, খেতেও ভারী মজা। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এই উপজেলার লাউ ঢাকা সহ দেশের অন্যান্য জায়গায় রপ্তানি করা হচ্ছে। লাউ চাষি আলাল মিয়া জানায়, এবার ২৫ শতাংশ ভূমিতে লাউ চাষ করেছি প্রাকৃতিক আবহাওয়া ভালো থাকায় লাউ ভালোই হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে উচ্চ দামে বিক্রি করেছি বর্তমানে কিছুটা দাম কমলেও চাষীদের ক্ষতি হবে না। আমি ধানের চেয়ে লাউয়ের চাষ করে দ্বিগুন টাকা পেয়েছি। দুই যুগ আগেও উপজেলায় বাণিজ্যিক ভাবে এই সবজি চাষ হতো না। মহিলারা বাড়ীর উঠানে এর চাষ করে থাকতো। আজ মাঠ পর্যায়ে বানিজ্যিক ভাবে লাউয়ের চাষ করতে আগ্রহী হয়ে উঠছে উপজেলার কৃষকরা। উপজেলা কৃষি কর্মর্কতা কৃষিবিদ হুমায়ুন দিলদার জানায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নিয়োজিত কর্মকর্তা,কর্মচারীরা তৃনমূল পর্যায়ে কৃষকদের লাউ ছাড়াও অন্যান্য সবজির চাষ সমন্দে উৎসাহী করার লক্ষ্যে পরামর্শ দিয়ে আগ্রহী করে তুলেছে কৃষকদের। উপজেলায় দিন দিন সকলের সহযোগিতায় এবং আমাদের প্রচেষ্টায় লাউ চাষের সংখ্যা আগামী মৌসুমে আরও বাড়বে বলে মনে করেন।