ঝিনাইগাতী সংবাদদাতা : শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলায় ১লা বৈশাখ থেকে শেরপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে বৈধ ও অবৈধ সকল প্রকার বালু উত্তোলন ও পরিবহনে পাচার করা বন্ধ ঘোষণা করা হয় । এর পরও বালু খেকোরা রাতের আধারে অবৈধ পন্থায় বালু উত্তোলন ও পরিবহন যোগে পাচার করা অব্যাহত রাখে বালু সিন্ডিকেটরা। যার ফলে প্রাকৃতিক ভারসাম্য বিনষ্ট হয়ে জমির ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়ে মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে গ্রাম গুলো। এই সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল আলম রাসেল দিনের বেলায় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে সাজা, কয়েক বার ৫০ হাজার টাকা জড়িমানা সহ সতর্ক করলেও বালু ব্যবসায়ীদের টনক নড়েনি। রাতের বেলায় বা চুরি করে বালু উত্তোলন ও পরিবহন যোগে পাচারের কাজে জড়িত হয় বালু খেকোরা। গত বুধবার রাতকে উপেক্ষা করে পাড়া,মহল্লা, পাহাড়ের নির্জন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা প্রশাসক আশরাফুল আলম রাসেল। অভিযানে বালু জব্দ ও একটি ট্রাক ভর্তি বালু আটক করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার সকালে সড়ক পরিবহন আইনে ট্রাকের চালককে ১০ হাজার টাকা জড়িমানা আদায় করে বালু ব্যাতীত ট্রাক ছেড়ে দেয়া হয়। উপজেলা প্রশাসক আশরাফুল আলম রাসেল জানান জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের সাথে মুখোশধারী ও আওয়ামী সাংবাদিকরা সহ অনেকেই জড়িত বলে একটি সুত্র নিশ্চিত করেছেন।
ঝিনাইগাতী অবৈধ বালু উত্তোলন ও পাচারের বিরুদ্ধে ইউএনও’র অভিযান অব্যাহত
