প্রথম টেস্টের দুই দিন আগে হঠাৎ করেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে । আঙুলের চোটে পড়ায় অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারের সহসা আর মাঠে নামা হচ্ছে না। তার মতো অভিজ্ঞ কেউ স্কোয়াডে না থাকাটা হতাশার বলে মনে করেন ব্যাটিং কোচ ডেভিড হেম্প। তবে এটিকে অন্যদের জন্য সুযোগ হিসেবেও দেখছেন তিনি।
দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে হেম্প বলেন, ‘অভিজ্ঞ কেউ না থাকা যেকোনো দলের জন্যই ক্ষতি। তবে মুশফিকের জায়গায় যে খেলছে, তার জন্য এটা ভালো সুযোগ। এই ইনিংসে দিপুর (শাহাদাত হোসেন) ফুট মুভমেন্ট ভালো ছিল। ভালো ছিল অ্যাটাকিং কিংবা ডিফেন্ডিং মুভমেন্টও, এটা ভালো লক্ষণ। এই সিনিয়র ক্রিকেটাররা না থাকলে কি হবে সেটাও ভাবতে হবে। একসময় না একসময় তো এটা হবেই। তাই মুশফিকের মতো কারও অনুপস্থিতি অবশ্যই হতাশার। তবে এগুলো মেনে নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে।’
লাল বলে ব্যাটারদের ছন্নছাড়া ব্যাটিং করার কারণ কি কম অনুশীলন? এর জবাবে হেম্প বলেন, ‘ওরা কিন্তু ওয়ানডে ফরম্যাটের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ খেলছিল। টেস্টের আগে লাল বলে কিছু অনুশীলন হয়েছে। লাল বল সাদা বল এগুলো শুধু রঙের ব্যাপার। তারা তো খেলার মধ্যেই ছিল। দিনশেষে আপনার প্রস্তুতিটাই মুখ্য। সাদা বলে বেশি সময় টিকে থাকা জরুরী, এইটুকু ভিন্নতা আছে। রান করার মানসিকতাটা ভিন্ন। তাছাড়া খেলতে হয় একইভাবে, শুধু বলের রঙটাই আলাদা।’
সাদা বলের প্রস্তুতি নিয়েও লাল বলে ভালো করা সম্ভব বলে মনে করেন এই ব্যাটিং কোচ, ‘আপনি দ্বিমত পোষণ করতে পারেন তবে আমার কাছে বিষয়টা হলো মাইন্ডসেট। আমার মনে হয় না বিপিএল–ডিপিএল খেলে এখানে মানিয়ে নিতে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা।খেলোয়াড়রা অনায়াসেই মানিয়ে নেয়। শুধু জানতে হবে আপনার অফ স্টাম্প কোথায়। আপনার প্রতিপক্ষ কারা। তারা কতটা হুমকি। শিডিউল তো থাকবেই, আপনি তো ক্রিকেট খেলছেন। লাল বল, সাদা বল নিয়ে এত মাতামাতির কিছু নেই। খেলোয়াড়রা ভালো খেলছে, ভালো প্রস্তুতি নিয়েছে। আমরা তাদের প্রস্তুতিতে আস্থা রাখছি।’
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে চলমান টেস্টের দ্বিতীয় দিনশেষে বাংলাদেশের বিপক্ষে লঙ্কানদের লিড ২১১ রান। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে তারা ইতোমধ্যে ১১৯ রানেই ৫ উইকেট হারিয়েছে। সফরকারীদের স্বীকৃত ব্যাটার বলতে আর আছেন কেবল অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। তাকে দ্রুত আউট করে টার্গেটটা তুলনামূলক কম রাখার লক্ষ্যে আগামীকাল তৃতীয় দিন শুরু করবে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।