ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর দফায় দফায় ছাত্রলীগের হামলায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা।
সোমবার (১৫ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার ঘটনা ঘটে। এতে আহত হন বেশ কিছু শিক্ষার্থী। পরে তারা ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা সেবা নিতে আসে। এরপর দফায় দফায় হেলমেট পরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।
হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা কয়েকজন নারী জানান, আমরা হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে এসেছি কিন্তু দেখছি হেলমেট পরা কয়েকজন হাতে লাঠিসোঁটা নিয়ে মেডিকেলের জরুরি বিভাগের ভেতরে ঢুকে যাকে পাচ্ছে তাকেই পেটাচ্ছে। তবে কোন পক্ষ কোন পক্ষকে পেটাচ্ছে সেটি বোঝার কোনো উপায় নেই। আমরা সাধারণ মানুষ, আমরা এখানে চিকিৎসা সেবা নিতে এসেছি। আমরা তাদের হামলায় ভয়ে-আতঙ্কে আছি।
ঢামেক হাসপাতালের আনসারের প্লাটুন কমান্ডার জানান, হেলমেট পরে হাতে লাঠি নিয়ে হঠাৎ করে তারা মেডিকেলের ভেতরে ঢুকে এলোপাথাড়ি মারধর শুরু করে। আমরা তাদের অনেক বোঝানোর চেষ্টা করি কিন্তু তারা শোনেনি। তারা কিছুক্ষণ পরপরই জরুরি বিভাগের প্রধান ফটক দিয়ে হাসপাতালের ভেতরে ঢুকে যায়। আমাদের অতিরিক্ত আনসার মোতায়েন করা হয়েছে, হাসপাতালে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেই বিষয়ে আমরা সজাগ রয়েছি।
তিনি বলেন, পরিচালকের নির্দেশনায় রোগীরা যাতে চিকিৎসা সেবা নিতে পারে আমরা সেই ব্যবস্থা করেছি। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, আজ কোটাবিরোধীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের দফায় দফায় সংঘর্ষে তিন শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়। হাসপাতালে এখন ১২ জন শিক্ষার্থী চিকিৎসাধীন আছে। তারা চিকিৎসা নিতে এলে দফায় দফায় দুই গ্রুপের সঙ্গে মারামারি হয়। ঢাকা মেডিকেলের চিকিৎসকরা আন্তরিকভাবে আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে।