সম্প্রতি হাঁটুর বয়সী সহ-অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজকে বিয়ে করে আলোচনায় রয়েছেন ওপার বাংলার অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক। তৃতীয় বিয়ে করে সামাজিক মাধ্যমে তুমুল কটাক্ষের শিকার হয়েছেন তৃণমূলের এই বিধায়ক।
এবার এতসবের খেসারত দিতে হলো তাকে, তৃণমূলের প্রচারণায় ঠাঁই হলো না কাঞ্চনের। অনেকেই বলছেন শ্রীময়ীকে বিয়ের খেসারত দিতে হয়েছে এই অভিনেতাকে।
এদিকে লোকসভা ভোটের দামামা বেজে গেছে। ভোটে তারকা প্রচারকের তালিকা নির্বাচন কমিশনকে পাঠাল তৃণমূল কংগ্রেস। ওই তালিকায় দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ মোট ৪০ জনের নাম রয়েছে। দলের আলোচিত বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিকের নাম নেই তালিকায়!
লোকসভা ভোটের প্রার্থী তালিকায় ঠাঁই হয়নি নুসরাত-মিমির। এবার প্রচারক তালিকা থেকেও ছেঁটে ফেলা হয়েছে তাদের। অথচ দু-বছর আগেও বিধানসভা নির্বাচনেও দলের হয়ে বাংলা জুড়ে প্রচার চালিয়েছিলেন মিমি ও নুসরত।
উত্তরপাড়ার বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিকের শ্রীময়ী চট্টরাজকে বিয়ে করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আছেন। শ্রীরামপুরের বিদায়ী সাংসদ তথা তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ কাঞ্চন। জোরকদমে দেওয়াল লিখনের কাজ চালাচ্ছেন তিনি। তবুও প্রচার তালিকায় বাদ থাকলেন।
তৃতীয় বিয়ে করে তুমুল কটাক্ষের শিকার কাঞ্চন। তার চেয়েও বড় বিতর্ক তৈরি হয় অভিনেতাকে নিয়ে। তার রিসিপশন পার্টিতে ড্রাইভার, নিরাপত্তারক্ষী ও সাংবাদিকদের ঢোকা নিষেধ এ কথা উল্লেখ করে যে কার্ড টাঙিয়েছিলেন তা ঘিরে। সে কারণেই কি দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হলো কাঞ্চনের? শ্রীময়ীর সঙ্গে বিয়ের কারণেই লোকসভা নির্বাচনের জনসংযোগ থেকে ছাঁটাই হলো কাঞ্চনের নাম? উঠছে প্রশ্ন।
তারকা প্রার্থী তালিকায় জায়গা পেয়েছেন দেব, সোহম চক্রবর্তী, রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, সায়নী ঘোষ, জুন মালিয়া, রাজ চক্রবর্তী এবং সৌরভ দাসরা।