রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার জি এম আবুল কালাম আজাদ বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে যারা জীবন উৎসর্গ করেছেন বাংলাদেশ পুলিশ তাদের দৃঢ়চিত্তে স্মরণ করে। প্রতি বছর পুলিশ মেমোরিয়াল ডে তে বাংলাদেশ পুলিশ এই জীবন উৎসর্গকারী পুলিশ সদস্যদের স্মরণ করে এবং তাদের স্বজনদের সম্মাননা প্রদান করেন।
শনিবার (৯ মার্চ) বেলা ১১টায় পুলিশ লাইন্সে জেলা পুলিশের আয়োজনে পুলিশ মেমোরিয়াল ডে উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
পুলিশ সুপার বলেন, যাদের সন্তান, স্বামী, ভাই বাংলাদেশ পুলিশে ছিলেন অথবা যারা বাংলাদেশ পুলিশে আছেন তাদের ছোট ছোট অবদানের কারণে বাংলাদেশ পুলিশ আজকের এই জায়গায় পৌঁছেছে। আমরা কৃতজ্ঞচিত্তে তা স্বীকার করি। তাদের অবদানের কথা স্মরণ করি ও করব।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইফতেখারুজ্জামানের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) মোমিনুল ইসলাম, গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুজ্জামান খান, দায়িত্ব পালনকালে নিহত কনস্টেবল বাচ্চু আলমের স্ত্রী রোকেয়া বেগম ও নিহত কনস্টেবল রনির বাবা পিয়ার আলী স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য রাখেন।
এ সময় সহকারী পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) সুমন কুমার সাহা, রাজবাড়ী সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইফতেখারুল আলম প্রধান, পাংশা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার, গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রাণবন্ধু চন্দ্র বিশ্বাস, বালিয়াকান্দি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন, কালুখালী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসাইন, ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক তারক চন্দ্র পালসহ কর্তব্যরত অবস্থায় আত্মত্যাগকারী পুলিশ সদস্যদের পরিবারের সদস্য, পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে কর্মরত অফিসার ও সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় রাজবাড়ী পুলিশ লাইন্সে স্থাপিত স্মৃতিস্তম্ভে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ, নিহত পুলিশ সদস্যদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন এবং নিহতদের আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া করা হয়। এরপর জেলা পুলিশের আয়োজনে পুলিশ লাইন্স ড্রিল শেডে কর্তব্যরত অবস্থায় নিহত পুলিশ সদস্যদের পরিবারের সদস্যদের সম্মাননা প্রদান এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ বছর রাজবাড়ীর বাসিন্দা ১৫ জন পুলিশ সদস্য কর্তব্যরত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করায় তাদের পরিবারের সদস্যদের সম্মাননা প্রদান করা হয়।