দুদকের কাছে যে আবেদন জানালেন বেনজীর

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে হাজির হওয়ার জন্য সময় চেয়ে আবেদন করেছেন সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ।

বুধবার বিকালে আইনজীবীর মাধ্যমে তিনি দুর্নীতি দমন কমিশনে আবেদন করেন বলে দুদক কমিশনার জহুরুল হক জানান।

জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বেনজীর আহমেদকে ৬ জুন বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় সেগুন বাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে উপস্থিত থাকতে নোটিস পাঠিয়েছিল দুদক। তিনি বিদেশে চলে গেছেন বলে গুঞ্জনের মধ্যেই আইনজীবীর মাধ্যমে সময় চাওয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমে এসেছে। 

বেনজীরের স্ত্রী জিশান মির্জা, বড় মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর এবং ছোট মেয়ে তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরকেও দুদকে তলব করা হয়েছে। তাদের ৯ জুন জিজ্ঞাসবাদে হাজির থাকতে বলা হয়েছে।

সাবেক এই পুলিশ প্রধান এবং পরিবারের সদস্যদের সম্পদ জব্দেরও আদেশ দিয়েছে আদালত। 

তবে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন বলছে, আদালতের আদেশ আসার আগেই বেনজীর ব্যাংক থেকে তার বেশিরভাগ অর্থ তুলে নিয়েছেন। এরপর তারা দেশ ছেড়ে গেছেন। বেনজীর দেশে আছেন কি না, তা নিয়ে রয়েছে অস্পষ্টতা। 

দুদকের তলবে বেনজীর জিজ্ঞাসাবাদে হাজির না হলে কী হবে, সে প্রশ্ন মঙ্গলবার দুদক কমিশনার মো. জহুরুল হকের কাছে রেখেছিলেন সাংবাদিকরা। জবাবে তিনি বলেন, দুদক কাউকে নোটিস করলে তিনি আসতে বাধ্য কি না, সেটা আইনে সুস্পষ্ট বলা নেই। না এলে ধরে নিতে হবে তার কোনো বক্তব্য নেই। তবে তার সুযোগ আছে সময় চাওয়ার। সময় চাইলে দুদক ১৫ দিন সময় দিতে পারবে। এই এখতিয়ার কমিশনের রয়েছে।

দুদক কমিশনার বলেন, সময় দেওয়ার পরও যদি তিনি দুদকে না আসেন তাহলে ধরে নিতে হবে তার কোনো বক্তব্য নেই। তখন নথিপত্র দেখে যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয় হবে, না হলে নয়।

অনুসন্ধানের স্বার্থে করণীয় সবই করা হচ্ছে উল্লেখ করে জহুরুল হক বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তির অনুপস্থিতিতেও বিচার হবে, এতে কোনো বাধা নেই।