দুরমুঠে এতিমের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

মোহাম্মদ আলী : বিধবা গৃহবধূ ও তার এতিম শিশুর নামে প্রদানকৃত ১০ লাখ ২০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে শালিসিয়ানদের বিরুদ্ধে। স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও মিলেনি প্রতিকার। অবশেষে থানায় অভিযোগ।
রোববার , ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে খায়রুল ইসলাম পিতা আঃ মমিন ও আলমাছ পিতা মমতাজের বিরুদ্ধে মেলান্দহ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন উপজেলার দুরমুঠ ইউনিয়ন নয়াপাড়া গ্রামের ভুক্তভোগী বিধবা তাসলিমা আক্তার।
অভিযোগসূত্রে জানা যায়, নয়াপাড়া গ্রামের জানিক মোল্লার মেয়ে তাসলিমার বিয়ে হয় একই ইউনিয়নের কলাবাঁধা গ্রামের আলমাছ শেখের ছেলে শামিম শেখের সাথে। তাদের ৫ বছর দাম্পত্যের জীবনের একটি কন্যার জন্ম হয়। এরমধ্যে কাজের প্রয়োজনে সৌদে গমন করেন শামিম। কিন্তু, কয়েক মাসের মাথায় সেই দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান তিনি। তার মৃত্যুতে প্রবাসী কল্যাণ তহবিল থেকে ৫ লাখ ২০ টাকা আসে স্ত্রীর তাসলিমা একাউন্টে। এছাড়া যে আদম বেপারী শামীমকে বিদেশ পাঠিয়েছিল তিনিও ক্ষতিপূরণ বাবদ তার পরিবার ৫ লাখ টাকা দেন। এই সমোদ্বয় অর্থ উত্তোলন করে ভুক্তভোগী বিধবা ও তার মেয়ে হাতে না দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে খায়রুল ও আলমাছের বিরুদ্ধে।
এব্যাপারে অভিযুক্ত খায়রুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে আনিত অস্বীকার করে বলেন, শালিসির মাধ্যমে ক্ষতিপূরণ বাবদ আদায়কৃত ৫ লাখ টাকা দুরমুঠ ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, বিলাসের কাছে জমা রাখা হয়েছিল। পরবর্তীতে তিনি শামিমের বাবার কাছে হস্তান্তর করেছেন। আর বিদেশ থেকে আসা ৫ লাখ ২০ হাজার টাকার মধ্যে ১লাখ ৬০ তাসলিমাকে দিয়েছি এবং বাকি ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা তাসলিমার মেয়ের জন্য দুরমুঠ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান, সৈয়দ রাশেদুজ্জামান অপু মিয়ার কাছে জমা দেওয়া হয়েছে।
এব্যাপারে অভিযোগের তদন্ত, কর্মকর্তা, এস আই, মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমি অভিযুক্তদের সাথে কথা বলেছি। এবং অভিযোগকারীর দাবি দ্রুত মিটিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে তাগিদ দিয়েছি। এরপরেও যদি না হয় তাহলে আইন আইনের গতিতে চলবে।