দুরমুঠে ভিজিডি চাল বিতরণে ২হাজার করে টাকা নেওয়ার অভিযোগ

Oplus_131074

মোহাম্মদ আলী : দুঃস্থ মাতাদের জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি চাল (ভিজিডি) বিতরণ করতে গিয়ে সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে ২হাজার করে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মেলান্দহ উপজেলার ১নং দুরমুঠ ইউনিয়ন পরিষদের বিরুদ্ধে !
মঙ্গলবার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর এমন অভিযোগ জানিয়েছেন দুরমুঠবাসী।
জানা যায়, দুইবছর মেয়াদি ভিজিডি কার্ডধারী সুবিধাভোগীদের সময়সীমা গত ডিসেম্বরে শেষ হয়ে যায়। কিন্তু, অন্তরবর্তী সরকারের এসে আর নতুন কোনো তালিকা না করায় জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত চাল বিতরণ বন্ধ থাকে। পরবর্তীতে সরকার কার্ডের মেয়াদ বৃদ্ধি করায় পূর্বের কার্ডধারীরা এক সাথে ৫ মাসের ১শ ৫০কেজি চাল পাচ্ছেন। এই চাল বিতরণ করতে গিয়ে দুরমুঠ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেম্বাররা তালিকাভুক্ত সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে ২হাজার করে টাকা হাতিয়ে নেয়। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে দুরমুঠ ইউনিয়নের সচেতন নাগরিকরা মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ জানান।
কর্মকর্তা এস এম আলমগীর হোসেন অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষণিক ভাবে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। উপজেলা নির্বাহীর নির্দেশক্রমে দুরমুঠ ইউনিয়ন পরিষদে প্রতিনিধি পাঠান উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা। প্রেরিত প্রতিনিধি আব্দুর ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভিজিডির তালিকাসূত্রে সুবিধাভোগীদের সাথে কথা বলে চাল বিতরণের সময় টাকা নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হন। এদিকে দুরমুঠ ইউনিয়নের বেশকয়েকটি ওয়ার্ডের সুবিধাভোগীদের সাথে কথা বলে টাকা নেওয়ার সত্যতা মিলেছে। এব্যাপারে বুধবার, মেলান্দহ উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, জান্নাতুন নাহার, ফোনে বলেন, আমরা ভিজিডির কার্ডধারীদের কাছে থেকে দুরমুঠ ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বাররা টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ এবং তদন্ত স্বাপেক্ষ প্রমাণ পেয়েছি। যা আমাদের সংগ্রহে রয়েছে। সেই তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আমি ওই ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যানকে ডেকে এনেছি এবং তাকে কার্ডধারীদের কাছ থেকে নেওয়া সকল টাকা ফেরৎ বলেছি। এবং ৩ কার্যদিবসের মধ্যে তারা আর ভবিষ্যতে এমন কাজ কোনোদিন করবে না মর্মে মুচলেকা দিতে বলেছি।অপরদিকে দুরমুঠ ইউনিয়ন বিএনপির নেতৃস্থানীয়রা জানান, পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মেম্বাররা শুধু ভিজিডি কার্ডধারীদের কাছ থেকে টাকা নেয়নি, চলমান টিআর কাবিখা ও কাবিটা প্রকল্পেও নয়ছয় করেছে। তারা মাটির রাস্তায় বালু ফেলে, কোথাও কোথাও না ফেলেও অর্থআত্মসাৎ করেছে। এব্যাপারে দুরমুঠ ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান, মোঃ বিলাশ সরকারের মতামত জানতে তার পরিষদে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। মোবাইলফোনে মতামত জানার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন ধরেননি।