খাদেমুল ইসলাম : দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার দেওয়ানগঞ্জ সদর ইউনিয়নের তিলকপুর গ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদের উপরে একটি ব্রীজ নির্মাণ ও উপর্যুপরি নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে বৃহত্তর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছে তিলকপুর-গোয়ালেরচর এলাকাবাসী। দেওয়ানগঞ্জ-তিলকপুর-খড়মা-গামারিয়া সহ অন্ততঃ ১০/১২ গ্রামের মানুষ ও নদের দক্ষিণ পাশের গোয়ালেরচর সহ ৮/১০ গ্রামের মানুষ ব্রহ্মপুত্র নদের উপর দিয়ে জীবন বাজি রেখে দশকের পর দশক ধরে নৌকায় পারাপার হয়ে আসছে। প্রতিদিন ছোট খাটো দূর্ঘটনা ঘটছে। উভয় পাড়ে কোনো উপযোগী যাত্রী ছাউনি না থাকায় দূর্ভোগ যাত্রী সাধারনের। নদ পাড়াপাড়ের অসুবিধার কারণে প্রতিবছর ঝরে যাচ্ছে অনেক শিক্ষার্থী। গত ১৬ সেপ্টেম্বর তিলকপুর গ্রামে ভাঙনরত ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে জমায়েত হয় গোয়ালেরচর-তিলকপুর এলাকার শতশত নারী পুরুষ। সেখানে এক মানববন্ধন শেষে পথ সভায় বক্তব্য রাখেন, দেওয়ানগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলহাজ¦ মোঃ লিয়াকত আলী, দেওয়ানগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম বিদ্যুৎ সহ নেতৃবৃন্দ। তারা বক্তব্য রাখতে গিয়ে হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন, যথাশীঘ্রই এখানকার তীব্র ভাঙন প্রতিরোধ ও সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া না হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবো। নদ-নদীর ভাঙন শুধু তিলকপুর-গোয়ালেরচর নয় উপজেলার দেওয়ানগঞ্জ, চুকাইবাড়ী, চিকাজানী, বাহাদুরাবাদ, হাতীভাঙা, পাররামরামপুর, চরআমখাওয়া, ডাংধরা সহ নানা স্থানে ব্রহ্মপুত্রের কমপক্ষে ৫০ পয়েন্টে। ক্রমেই ছোটো হয়ে আসছে দেওয়ানগঞ্জের মানচিত্র। ইতিমধ্যে বিলীন হয়েছে বহু গ্রাম, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পথ, ঘাট জনপদ। হুমকির মুখে পড়েছে পোল্যাকান্দি ব্রীজ, ঝালোরচর ব্রীজ, খোলাবাড়ী-ডাকাতিয়া ব্রীজ, সানন্দবাড়ী ব্রীজ সহ নানা স্থাপনা। ক’দিন আগে ঝালোরচর বাজার, জামে মসজিদ ও ব্রীজ তীব্র ভাঙনের মুখে পড়লে খবর পেয়ে তৎক্ষণাত সেখানে ছুটে যান দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আতাউর রহমান সহ পাউবো’র উর্ধতন কর্মকর্তাগণ। তারা এ ভাঙন অবস্থা দেখে পরদিনই সেখানে জিও ব্যাগ ফেলার কাজ শুরু করলে ভাঙন বন্ধ হয়েছে বর্তমানে। এলাকাবাসী খুশি। দেওয়ানগঞ্জ বাসীর প্রাণের দাবী বন্ধ করা হোক নদ-নদীর ভাঙন এবং তিলকপুর ব্রহ্মপুত্র নদের উপর সেতু নির্মাণের।
দেওয়ানগঞ্জের তিলকপুর-গোয়ালেরচর ব্রহ্মপুত্র নদে ব্রীজ নির্মাণ না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি
