দেওয়ানগঞ্জের শিক্ষিত রোগাক্রান্ত যুবককে আর্থিক সহায়তা দানের মিথ্যা আশ্বাসে প্রতারনা

ai

খাদেমুল ইসলাম : জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জের শিক্ষিত রোগাক্রান্ত যুবককে আর্থিক সহায়তা দানের মিথ্যা আশ^াসে প্রতারনা করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঐ যুবকের নাম সুলতান মাহমুদ। তিনি জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার সদর দেওয়ানগঞ্জ ইউনিয়নের ভাটিপাড়া গ্রামের হতদরিদ্র মোঃ ফকির আলীর পুত্র। ফকির আলী, তার পুত্র রোগাক্রান্ত সুলতান মাহমুদ ও একই এলাকার বাসিন্দা দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ আবু হাসেম নয়াদিগন্তকে জানান, সুলতান মাহমুদ একজন মেধাবী ছাত্র ছিলেন। তিনি দেওয়ানগঞ্জ সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পাশ করে ভর্তি হন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে। ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ৫ম সেমিস্টার পড়াশোনা কালে তিনি জটিল রোগে আক্রান্ত হন। দরিদ্র মা বাবা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা করতে থাকেন তাকে। পরে ধার দেনা করে টাকা পয়সা যোগার করে নিয়ে যান ঢাকাতে, চিকিৎসার জন্য। এতে তাদের ৩/৪ লাখ টাকা খরচ হয়। চিকিৎসা করা কালীন তার ডান পা অকেজো হয়ে পড়ে। বলা যায় পঙ্গু। ক্র্যাচে অন্য পায়ে ভর করে কোনো রকম চলাচল করছেন সুলতান মাহমুদ। তিনি বসতে পারেন না। সব সময় দাড়িয়ে থাকেন। সারা রাত ঘুমান না, যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকেন। চিকিৎসা তো দুরের কথা এখন তিনি দুবেলা খেতেও পারেন না। এসব জেনে দেওয়ানগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি দৈনিক নয়াদিগন্ত পত্রিকার প্রতিনিধি খাদেমুল ইসলাম তার নিজস্ব ভেরিফাই আইডি থেকে সুলতান মাহমুদের ছবি সহ একটি পোস্ট করেন। সেখানে রোগাক্রান্ত গরীব মেধাবী শিক্ষার্থী সুলতান মাহমুদের বিকাশ/নগদ ০১৭৬০-৪৮৯১১০ নাম্বারে সম্ভব হলে আর্থিক সহযোগিতার আবেদন জানানো হয়। ২২ অক্টোবর এই নাম্বারের একটি ফোন কলে সুলতান মাহমুদকে বলা হয়, আমি আমেরিকার ওয়াশিংটন থেকে বলছি। আপনাকে চিকিৎসার জন্য সহায়তা বাবদ ৫ হাজার ডলার দেবো। আপনি অতিদ্রুত স্থানীয় সোনালী ব্যাংকে আপনার নামে একটি একাউন্ট খুলে তারাতারি আমাকে জানান। আর এখনি ১১৫০ টাকা ০১৮৭২৮৬৭৭৬৮ এই নাম্বারের বিকাশ করুন, যাতে আপনাকে দেওয়ার টাকা দ্রুত পৌছাতে পারি। সহজ সরল সুলতান মাহমুদ উক্ত টাকা বিকাশ করে দেন। এরপর থেকে ওদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত। সুলতান মাহমুদ এতে খুব হতাশ হয়ে পড়েছেন। তিনি চোখের জলে এ সাংবাদিককে জানান, আমার কাছে এই মুহুর্তে এই টাকা অনেক বড়। আমি প্রতারনার শিকার হয়েছি।