দেওয়ানগঞ্জে আব্দুল গণি ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার শিক্ষক কর্মচারীদের সাংবাদিক সম্মেলন ও বিক্ষোভ মিছিল

খাদেমুল ইসলাম : জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরাবাদ ইউনিয়নের মাদারেরচর আব্দুল গণি ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার শিক্ষক কর্মচারীরা এক সাংবাদিক সম্মেলন ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করেন। ৩১ আগষ্ট শনিবার সকালে অত্র মাদরাসার অধ্যক্ষের কক্ষে জনার্কিন সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, মাদারেরচর আব্দুল গণি ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার সুপার মোঃ হাসমত আলী, সহকারী শিক্ষক মোঃ আলমগীর হোসেন, নুর ইসলাম, আশরাফ আলী, শারমীন বেগম, হাবিবুল্লাহ মিয়া সহ অন্যান্য। বক্তাগণ অত্র মাদরাসার বরখাস্তকৃত মৌলভী শিক্ষক মোঃ নাদের হোসেনের বিরুদ্ধে নানাবিধ অভিযোগ উত্থাপন করেন। মাদরাসার সুপার মোঃ হাসমত আলী সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে উল্লেখ করেন, স্থানীয় মাদারের চর গ্রামের আজাহার আলীর পুত্র নাদের হোসেন কে ২০১৩ সালে সহকারী মৌলভী শিক্ষক পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তী সময় দেখা যায়, তার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বৈধ নয় এবং শিক্ষক নিবন্ধন সনদটিও ভূয়া, জাল। তার সমদয় কাগজপত্র ভূয়া প্রমাণ হলে, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে তাকে চাকুরী থেকে অব্যাহতি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় মাদরাসার কর্তৃপক্ষকে। মাদরাসার পক্ষ থেকে পুনরায় শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ঐ স্থলে শিক্ষক নিয়োগ করা হয় সরকারি বিধি মোতাবেক। সহকারী মৌলভী পদে মোছাঃ শারমীন আক্তার কে নিয়োগ দান করা হয়। এব্যাপারে কোনো আর্থিক লেনদেন বা সম্পৃক্ততা ছিল না সুপারের বিরুদ্ধে। এরপর শিক্ষক পদটি ফিরে পেতে পরবর্তীতে বিজ্ঞ আদালতে একটি অভিযোগ দায়ের করেন, বরখাস্ত শিক্ষক নাদের হোসেন। কিন্তু এর কোনো যথাযথ সত্যতা না থাকায় অভিযোগটি নাকোচ হয়ে যায়। এরপর থেকে মাদরাসার সুপার হাসমত আলী সহ অন্য সব শিক্ষকদের বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লাগে নাদের হোসেন ও তার লোকজন। তারা বিভিন্ন কাল্পনিক ও ভিত্তিহীন মিথ্যা অভিযোগ তুলে সুপার ও শিক্ষকদের বিরুদ্ধে এলাকায় প্রপাগান্ডা ছড়াতে থাকে। এতে একদিকে শিক্ষকদের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে অপর দিকে মাদরাসার পড়া শোনা ও প্রশাসনিক কাজে দারুন বিঘœ ঘটছে। মাদরাসার সুপার মোঃ হাসমত আলী সহ শিক্ষকগণ এ ব্যাপারে তদন্ত পূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট আহবান জানান।